ইবির হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।আজই রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দশনা মোতাবেক উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। আমরা সেই কমিটির রিপোর্ট আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাতে পেয়েছি। আজকেই আমরা এটা পাঠিয়ে দেব, কালকের মধ্যে হাইকোর্টে এটা সাবমিট হবে। এরপর হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলার অনুমতি আমাদের নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তারা চাইলে বলতে পারেন।

এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত কমিটি ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে, ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনভর পর্যালোচনায় বসেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।  ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তারা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন।

এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। র‌্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ক্যাম্পাসও ছাড়েন অভিযুক্তরা।