ইবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

ইবি প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ-আসকারী এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান। পতাকা উত্তোলন শেষে ভিসির নেতৃত্বে একটি শোক র‌্যালি বের হয়।

 

র‌্যালিতে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস.এম. আব্দুল লতিফ, অনুষদীয় ডিনবৃন্দ, আবাসিক হল প্রভোস্টগন, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসহ সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

 

র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তাবক অর্পণ পর্বে মিলিত হয়। পুষ্পস্তাবক অর্পণ শেষে শহীদদের সম্মানে ১ মিনিট নিরবতা পালন ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এরপর সকাল ১০টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শহীদদের স্মরণে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ফোকলর বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান এবং আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আরমিন খাতুনের যৌথ সঞ্চালনায় পধান অতিথি ছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস.এম. আব্দুল লতিফ প্রমূখ।

 

এছাড়া, অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লালন গবেষক প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী।

প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী বলেন- ‘কোন দেশের, জাতির আকাঙ্খা যাদের মাধ্যেমে প্রকাশিত হয় তাঁরা সেই দেশের বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় একটি দেশকে ও জাতিকে সম্মানিত করে এবং বর্হি:বিশ্বে তাদের পরিচয়কে তুলে ধরে। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনিত হওয়ার আগেই আমরা সেই মেধাবী মুখগুলোকে হারিয়েছি।

11-copy

বুদ্ধিজীবীরা আমাদের উজ্জল ভতিষ্যতের জন্য নিজের সম্ভবনাময় বর্তমানকে উৎসর্গ করেছিল। তোমাদের স্মৃতি ও কর্ম চিরকাল আমাদের প্রেরণা যোগাবে।’ বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন- বুদ্ধিজীবী একটি দেশের নয় পুরো বিশ্বের সম্পদ। বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে একটি বর্বরোচিত কাজ করেছে পাক হানাদার বাহিনীরা। যে সকল বুদ্ধিজীবীকে আমারা হারিয়েছি তাদেরকে আমরা আর পাব না কিন্তু, এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা বুদ্ধিজীবী তৈরীর কারখানা হিসেবে কাজে লাগাতে চাই।

 

সভাপতির বক্তব্যে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন- ৭ ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেইসকোর্স ময়দানে ভাষনের মাধ্যমে সকল মুক্তিকামি মানুষকে একত্রিত করেছিলেন এ দেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। কিন্তু, স্বাধীন হয়ে যাওয়ার দুই দিন পূর্বে পাকিস্থান শাসক গোষ্টি অত্যান্ত সুপরিকল্পিতভাবে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের এ দেশকে মেধা-মনন শূণ্য করার জন্য কবি, শিল্পি, সাহিত্যিক, দার্শনিক এবং আরো অনেককেই ঢাকার বিভিন্নি স্থানে হত্যা করে। তবে বর্তমানে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে দেশরত্ন শেখ-হাসিনার যৌগ্য নেতৃত্বে সকলেই একত্রিত হয়ে সঠিক গনতন্ত্র চর্চার মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া কাজ সুসম্পন্ন করলেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।

স/শ