চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইজি বাইকের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ মানুষ

কামাল হোসেন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকাসহ জেলার অণ্য উপজেলা গুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজি বাইক ও অটো রিকশার সংখ্যা। তারা অন্য যানবাহন কে তোয়াক্কা না করে নিজেদের মধ্যে পাল্লা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সর্বত্র। তাদের এমন দৌরাত্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার পুরাতন বাজার,হাসপাতাল রোড,শান্তি মোড়,নিউ মার্কেট,কোর্ট রোড,উদয়ন মোড়সহ ব্যাস্ততম পৌর এলাকার চারদিকে রাস্তাজুড়ে শুধুই ইজি বাইক ও ব্যাটারিচালিত ছোট রিকশার সারি নিত্য দিনের। এ দুটি যানের চাপে রাস্তায় পা ফেলার জায়গা থাকেনা। ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারী।

 
তবে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নয়, বলা যায় দিন-রাতের বেশির ভাগ সময় এমন জট লেগে থাকছে পৌর এলাকার ব্যাস্ততম সড়ক গুলোতে। এর মধ্যে পুরাতন বাজার, হাসপাতাল, সরকারি কলেজ, নিউ মার্কেট, শান্তি মোড় এলাকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। জনবহুল এসব এলাকায় কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লেগেই থাকছে ইজিবাইকের জট। সেই জটে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। এসব যানবাহন সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।

 
তার পরেও এসব অটোরিকশা বন্ধের কোন উদ্যোগ নেই কারও। এতে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক ও রিকশার সংখ্যা।

 
পৌর এলাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ‘অটোরিকশার চাপে দোকানের সামনে কোনো ক্রেতা সহজে দাঁড়াতে পারে না। সব সময় মনে হয়, দোকানের মধ্যেই বুঝি ঢুকে পড়বে অটোরিকশাগুলো।

 

সরকারী কলেজের ছাত্র শহিদুল্লাহ জানান, ‘কলেজ থেকে বের হলেই যেন অটোরিকশার জ্যামে পড়তে হয়। ঠিকমতো পা ফেলারও সুযোগ পাওয়া যায় না। এছাড়া অটো রিকশার যানযটে সাইকেল নিয়েও চলাচল করা যায়না।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত এসব অটোরিকশা দুটি শ্রেণিতে ভাগ হয়ে গোটা জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে জেলায় কি পরিমান এসব যানবাহন রয়েছে তার কোন হিসাব নেই কারও কাছে। অধিকাংশেরই নেই নাম্বার প্লেট। এসব যানবাহনের নেই কোন রেজিষ্ট্রেশন। নেই কোন চালকের প্রশিক্ষণ সনদ।
তথ্য মতে, ২০১০ সাল থেকে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে চলাচল শুরু হয়। এর পর থেকে জেলায় বেড়েই চলেছে ইজিবাইক ও অটোরিকশার সংখ্যা। অলিগলি থেকে শুরু করে মহাসড়কে দেদারসে চলে এসব ছোট ছোট যানবাহন। দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ জেলাবাসী। অটো ও ইজিবাইক বেড়ে যাওযার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন।
স/শ