ইউরোপ ও ন্যাটোর অনেক দেশ তুর্কি ড্রোনের প্রতি আগ্রহী

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো জোটের বহু সদস্য দেশ তুরস্কের ড্রোন ও প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু।

আন্তালিয়া প্রদেশে অনুষ্ঠিত বৈশ্বয়িক কৌশলগত প্রতিরক্ষা ও বিমান নির্মাণ শিল্প বিষয়ক সভায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। খবর ডেইলি সাবাহর।

তবে তুর্কি ড্রোন ও প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতি আগ্রহী দেশগুলোর নাম বলেননি চাভুসগ্লু।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাভুসগ্লু বলেন, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তারা তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রশংসা করেছেন। লাটভিয়ার অনুষ্ঠিত ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের মাধ্যমে এসব তথ্য জেনেছি।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুতই একটি প্রতিরক্ষা শিল্প বিভাগ চালু করবে বলে জানান চাভুসগ্লু।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের মাঠে শক্তিশালী না হয়ে আলোচনার টেবিলে শক্তিশালী হওয়া যায় না। তাই যুদ্ধের মাঠে শক্তিশালী হতে দরকার স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কার্যকর এবং স্বাধীন প্রতিরক্ষা শিল্প।

‘কঠিন ভৌগলিক অবস্থানে আমাদের বসবাস। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য, কূটনীতির সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে হবে’, যোগ করেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তুরস্কের ড্রোনের প্রতি বিভিন্ন দেশের আগ্রহের খবর সরকারের জন্য ইতিবাচক। একই সঙ্গে দেশটি চায় ড্রোনের রপ্তানি বাড়াতে। বিভিন্ন দেশের ড্রোন নিয়ে আগ্রহ এ যুদ্ধাস্ত্রের গুরত্বকে তুলে ধরে।

তুরস্কের সেনাবাহিনী সিরিয়ায় ড্রোন ব্যবহার করেছে। লিবিয়ায় আরব আমিরাত, মিসর, রাশিয়ার সমর্থিত গোষ্ঠীকে হটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তুর্কি ড্রোন ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজানের জয়ে ছিল তুর্কি ড্রোনের অবদান।

 

সুত্রঃ যুগান্তর