ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের আট দফা দাবিতে সংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম রাজশাহী জেলা শাখার আট দফা দাবিতে সংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় নগরীর একটি হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সভাপতি ও গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউপি চেয়াম্যান আকতারুজ্জামান আখতার।

সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে যে দাবিগুলো করা হয়েছে, সেগুলো হলো-ইউপি চেয়ারম্যানদের সম্মনজনক পদমর্যাদা নির্ধারণ করতে হবে এবং তা ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভক্ত করতে হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সম্মানীভাতা যুগোপুযোগী করে চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রে চল্লিশ হাজার ও সদস্যদের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা করতে হবে। সংবিধান ও আইন পরিপন্থি পরিপত্র জারী বন্ধ করা এবং সকল প্রকার হস্তেক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। টিআর, কাবিখা, এিিপ, ভ’মি হস্তান্তর কর ১ শতাংশ সহ সকল প্রকার বরাদ্দ সরাসরি পরিষদকে প্রদানের ব্যবস্থা করা ও ইউনিয়ণ পরিষদের স্থানীয় আয় উপজেলা পরিষদে স্থানীয় আয় উপজেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ধারা ৮ অনুযায়ী প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে ঘোষণা এবং ধারা ৬৩ ও তৃতীয় তফসিল’র আলেঅকে ইউপি পর্যায়ের সরকারি কর্মখর্তা ও কর্মচারীদের ইউনিয়ন পরিষদের হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া ধারা ৬২ অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে সকল ইউনিয়ন পরিষদে একজন হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপরেটর নিয়োগ দিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪ এ চেয়ারম্যান বা সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ এবং ধারা ৭৭ (খ) ও (গ) বাতিল করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের সম্পদ ও আয়ের খাতসূমহ সুনির্দিষ্ট করে অবিলম্বে হাট-বাজার, জলমহল, খেয়াঘাট, শ্যালোঘাট এবং খাসজমি ইজারা দেয়ার কষমতা ইউপিকে অর্পন করতে হবে। গ্রাম আদালতের বিচারক ক্ষমতা ৭৫ তাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকায় উন্নীত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, এই বছরের আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আট দফা দাবি না মানা হলে কঠর আন্দোলনে নামবে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম। কর্মসূচিরগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হবে।

স/আর