ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

ইউক্রেনে রকেট হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ বন্দরের চ্যানেলে আটকে থাকায় নাজুক অবস্থায় পড়তে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। জাহাজটি বাণিজ্যিক, বন্দরের চ্যানেলে আটকা পড়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা তাদেরকে সাহস যুগিয়েছি।

জাহাজটিতে আটকা পড়া নাবিক ও প্রকৌশলীরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

ওই জাহাজের এক প্রকৌশলী নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। কিছুদিন পরই সিরামিকের কাঁচামাল ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে জাহাজটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এতে বন্দরেই আটকে যায় জাহাজটি।

তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।ওই জাহাজে থাকা বাকি ২৮ জন ক্রু সদস্য অক্ষত আছেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারা যখন আটকে পড়ে, তখনও নিরাপদে ছিল। গতকালের (বুধবার) হামলা মনে হচ্ছে এটা টার্গেট করে হামলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে আটকে পড়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ চলছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।’

জাহাজে আটকা পড়াদের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জাহাজে খাবার মজুদ আছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সবকিছু। রাশিয়া ও ইউক্রেন, আইওএম, রেডক্রসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় একটি রকেট হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। এতে জাহাজের এক ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। তার নাম হাদিসুর রহমান। তিনি ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর