ইউক্রেনে আটকে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুরুটা মোটেই ভালো হলো না বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। অনেকটা সময় এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি তারা। ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়েছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ইউক্রেন।

বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। অঁতোয়ান গ্রিজমানের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর কিম্পেম্বের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে ইউক্রেন।

দুই দলের সবশেষ দেখায় গত অক্টোবরে এই মাঠেই প্রীতি ম্যাচে ৭-১ গোলে জিতেছিল ফ্রান্স। এবার তেমন ছন্দেই দেখা যায়নি দিদিয়ে দেশমের দলকে। পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশে তারা ১৮টি শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারে কেবল ৩টি। কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভিয়ে জিরুদরা একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেন।

শুরু থেকে অধিকাংশ সময় বল দখলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স একাদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। আদ্রিওঁ রাবিওর কাট ব্যাকে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে জিরুদের দুর্বল শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।

ম্যাচের ১৯তম মিনিটে গ্রিজমানের দুর্দান্ত গোলে লিড নেয় ফ্রান্স। হেডে বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি ইউক্রেনের এক ডিফেন্ডার। বল পেয়ে জায়গা বানিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। এই গোলের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেলেন গ্রিজম্যান। ৩৪ গোল করে ডেভিড ত্রেজেগেকে স্পর্শ করলেন তিনি। গ্রিজম্যানের ওপরে আছেন মিশেল প্লাতিনি (৪১), জিরুদ (৪৪) ও থিয়েরি হেনরি (৫১)।

গ্রিজম্যানের গোলে লিড নেওয়ার পরের মিনিটেই ভালো একটি সুযোগ পান এমবাপ্পে। কিন্তু ডি বক্সের ভেতর থেকে বল উড়িয়ে মারেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। এরপর আরো একটি সুযোগ নষ্ট করেন অলিভার জিরুদ। প্রথমার্ধ শেষ হয় গ্রিজমানের একমাত্র গোলে এগিয়ে থেকেই।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় ইউক্রেন। দুর্দান্ত কিছু আক্রমণে ফ্রান্সের রক্ষণে ভয় ধরায় ইউক্রেন। ৫৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইউরো বাছাইয়ে অপরাজিত থেকে নিজেদের গ্রুপে সেরা হওয়া দলটি। ডি বক্সে সফরকারী মিডফিল্ডার সিদরচুককে শট নিতে দেখে নিজের বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোলরক্ষক হুগো লরিস। বল প্রেসনেল কিম্পেম্বের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

এরপর ম্যাচের বাকি সময় দারুণ কিছু আক্রমণ করলেও ইউক্রেনের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি এমবাপ্পেরা। শেষ পর্যন্ত ওই ১-১ গোলে ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয় ফ্রান্সকে।

‘ডি’ গ্রুপে ফ্রান্সের সঙ্গে আছে বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভেনিয়া, ফিনল্যান্ড, ইউক্রেন এবং কাজাখাস্তান। নিজেদের পরের দুই ম্যাচে আগামী রবিবার কাজাখস্তান এবং এর তিন দিন পর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ