বুরুন্ডির এক দরিদ্র কৃষক ইউক্রেনের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য তার এবারের ফলন থেকে ১০০ কেজি ভুট্টা দান করেছেন। আড্রিয়ান নিমপাগারিতসে নামের ওই কৃষক নিজেও তানজানিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে বেড়ে ওঠেন। লেখাপড়া করেন সেখানকার স্কুলে।
আড্রিয়েন বলেন, নিজে একজন সাবেক উদ্বাস্তু হিসেবে আমি কিছু সাহায্য করার কথা ভেবেছিলাম।
আমি একজন দরিদ্র কৃষক। দেওয়ার মতো বেশি কিছু নেই। তবে আছে ভালোবাসায় ভরা হৃদয়। ’
“ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলাম। নারী ও শিশু মারা যাচ্ছে। এ দ্বন্দ্বের সমাধান আনতে আমার অবদান রাখার কিছু নেই। তবে আমি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে যা চাষ করেছি তার কিছুটা তো দান করতে পারি। ”
৩০ বছর বয়সী বুরুন্ডিয়ান নিমপাগারিতসে ১৯৯৬ সালে জাতিগত সহিংসতার সময় তানজানিয়ায় পালিয়ে যান। তখন তিনি চার বছর বয়সী এক অনাথ শিশু।
তানজানিয়ার মুতেন্দেরি শরণার্থী শিবিরে বড় হয়েছিলেন নিমপাগারিতসে। ১১ বছর পরে ২০০৭ সালে দেশের মাটিতে ফেরার সময় তার বয়স ছিল প্রায় ১৫।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, শরণার্থী হওয়া কেমন। খিদে লাগলে খাওয়ার মতো কিছু পাওয়া যেতই না প্রায়। … শিবিরে কোনো প্রতিবেশী শুধু একটি কাসাভা পাতা আর একটু পানি দিলেও আপনি তার প্রশংসা করবেন। ’
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ