ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম দিতে চলেছে ওয়াশিংটন

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

রাশিয়ার হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেন মঙ্গলবার দুটি সুখবর পেল। প্রথমত প্যারিসে আয়োজিত দাতা সম্মেলনে দেশটির জন্য প্রায় ১০০ কোটি ইউরো সহায়তার অঙ্গীকার করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনকে উন্নত প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। একাধিক সংবাদমাধ্যম মার্কিন প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে।

আকাশসীমা সুরক্ষার এমন প্রণালি হাতে পেলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেন আরো এগিয়ে যাবে। বিশেষ করে জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর আরো হামলা এড়াতে পারলে দেশটির সাধারণ মানুষের দুর্দশা কিছুটা কমানো যাবে। ওয়াশিংটন ও কিয়েভের প্রশাসন অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আপাতত নীরব রয়েছে।

যুদ্ধক্ষেত্রে প্যাট্রিয়ট প্রণালি মোতায়েন করা অবশ্য বেশ জটিল প্রক্রিয়া। বিশাল এই সরঞ্জাম চালাতে অনেক সৈন্যের প্রয়োজন হয়। সাধারণত বেশ কয়েক মাসের প্রশিক্ষণের পরই কোনো সেনাবাহিনী সেই সিস্টেম কাজে লাগাতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সময়ের অভাবে সম্ভবত জার্মানিতে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ‘ক্র্যাশ কোর্স’ করিয়ে ইউক্রেনে যত দ্রুত সম্ভব প্যাট্রিয়ট প্রণালি চালু করতে চায় ওয়াশিংটন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইউক্রেনকে ‘নাসামস’ এয়ার ডিফেন্স প্রণালি হস্তান্তর করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী সেই প্রণালি অত্যন্ত সফলভাবে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আগেভাগেই অকেজো করে দিচ্ছে।

এদিকে ওয়াশিংটনের এমন সিদ্ধান্তের আঁচ পেয়ে রাশিয়া তর্জন-গর্জন শুরু করে দিয়েছে। প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ন্যাটোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট প্রণালি দিলে রাশিয়া সেই পদক্ষেপকে প্ররোচনা হিসেবে গণ্য করবে। মস্কো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির শান্তি প্রস্তাবও উড়িয়ে দিয়েছে।

এ ছাড়াও ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে উল্টো ইউক্রেনের পূর্বাংশে জবরদখল মেনে নেওয়ার পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবারও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে জোরালো সংঘর্ষ হয়েছে। বাখমুত নামের ছোট এক শহরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক মাস ধরে গোলাবর্ষণ চলছে।

মঙ্গলবার প্যারিসে এক দাতা সম্মেলনে প্রায় ৭০টি দেশ ও প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনের জন্য ১০০ কোটি ইউরোর বেশি সহায়তার অঙ্গীকার করেছে। রাশিয়ার হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেনের পানি, খাদ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও পরিবহন পরিষেবা চালু রাখতে সেই সহায়তা কাজে লাগানো হবে বলে জানা গেছে।

সূত্র: যুগান্তর