আল্লাহ মুমিনের সর্বোত্তম অভিভাবক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহই মুমিনের সর্বোত্তম অভিভাবক। আল্লাহর এই অভিভাবকত্বের ব্যাপারে মুমিন কোনো সংশয় ও সন্দেহ পোষণ করে না। কেননা এটা বিশ্বাসের অংশ। আল্লাহর অভিভাবকত্বের ব্যাপারে যার বিশ্বাস যত দৃঢ় সে আল্লাহর তত বেশি অনুগ্রহপ্রাপ্ত।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের অভিভাবক, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৭)

ইসলামী ধর্মতাত্ত্বিকরা আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ‘ওয়ালা’ বা অভিভাবকত্বের যে সম্পর্ক আছে তার স্বরূপ তুলে ধরেন এভাবে—বান্দা সেই কথা, কাজ ও বিশ্বাসের ধারক হবে, যা তার প্রতিপালক ভালোবাসেন এবং যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন। এরই অংশ হিসেবে সে আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও দ্বিন ইসলামকে ভালোবাসবে, তাঁর প্রতি সাহায্য করবে, তাঁদের আদেশ ও নিষেধ মান্য করবে। প্রতিদানে আল্লাহ বান্দাকে ভালোবাসবেন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন।

এ জন্য আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের উদ্দেশে বলেন, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। যারা ঈমান আনে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়া ও আখিরাতে। আল্লাহর বাণীর কোনো পরিবর্তন নেই; এটাই মহাসাফল্য। ’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬৪)

আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার কারণে মুমিন পরস্পরের অভিভাবক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন নর ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু, তারা সৎকাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে; তাদেরকেই আল্লাহ অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও মুমিনরা। ’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৫)

আর সৃষ্টিজগতে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুমিনদের জন্য সর্বোত্তম অভিভাবক। এ জন্য বলা হয়েছে, ‘নবী মুমিনদের কাছে তাদের নিজেদের অপেক্ষা ঘনিষ্ঠতর। ’

(সুরা : আহজাব, আয়াত : ৬)

আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ও তাঁর অভিভাবকত্বের অধীন হওয়ার মাধ্যমে মুমিন যখন পরস্পর একতাবদ্ধ হয়, তখন আল্লাহ তাদের বিজয় চূড়ান্ত করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং মুমিনদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে, আল্লাহর দলই তো বিজয়ী হবে। ’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৬)

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন