আশীর্বাদ সম্পন্ন, প্রেমিকের সঙ্গে পালালো সংখ্যালঘু স্কুলছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্রীমতি সাথী কুমারীর সঙ্গে চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক টুটুলের। সাথীর বাবা-মা সেই সম্পর্ক মানতে নারাজ। তাই ঠিক করেছে বিয়ে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে আর্শীবাদও সম্পন্ন হয়ে অন্য ছেলে সঙ্গে। আর বিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর। তাই মোবাইল ফোনে ছেলে টুটুলকে ডেকে মোটরসাইকেলে উঠে পালালো কিশোরী সাথী।
এই ঘটনায় সাথীর বাবা শ্রী আনন্দ অপহরণ মামলা করেছে ছেলে টুটুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। মেয়ের বাবা-মায়ের দাবি ছেলে টুটুল অস্ত্র দেখিয়ে তার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। পুলিশ বলছে, মেয়ে নিজের ইচ্ছায় গেছে। বাবা-মায়ের সব অভিযোগ মিথ্যা।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহীতে দুর্গাপুর উপজেলায় কয়ামাজমপুর গ্রাম থেকে অস্ত্রের মুখে মায়ের সামনে থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। 
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশিদা বানু কনা বলেন, রাতে উপজেলার পুরানতাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মেয়ের বাবা আনন্দ মামলা করেন।

তিনি বলেন, ওই কিশোরী  দশম শ্রেনীর ছাত্রী। এছাড়া টুটুলের সঙ্গে চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তার।  ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চালচ্ছে।

Image may contain: 4 people, people sitting

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরের পর এনিয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।

এসময় তিনি বলেন, সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি পুলিশ হেফাজতেই আছে। আদালতে এনিয়ে তার জবানবন্দি দেবার কথা।

ওই তরুণীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী পুলিশকে জানিয়েছে প্রেমের সম্পর্কের কথা। অপহরণ নয়, সে স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সাথে ঘর ছাড়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশকে।

তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

স/আ