আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তন চান এরদোগান

আজারবাইজানের বিজয় উৎসবে যোগ দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তিনি আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তন চান। তিনি তুরস্কের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সীমান্ত খুলে দেয়ার কথাও বলেছেন।

এরদোগান বলেন, আর্মেনিয়ার জনগণ ব্যর্থ নেতৃত্বের বোঝা থেকে মুক্তি পাবে, যারা অতীতে তাদের মিথ্যা বলে বুঝিয়েছে এবং দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানান, আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য তিনি রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান, জর্জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে সম্ভব হলে আর্মেনিয়াও থাকবে।

তিনি বলেন, আজারবাইজান নিজের জমি ফিরে পেয়েছে। তবে তার মানে এই নয়, সংঘাত শেষ। যে সংঘাত রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ছিল, সেটি এবার অন্য ফ্রন্টে হবে।

এরদোগানের দাবি, আর্মেনিয়ার সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন। তারা শহর, গ্রাম ও মসজিদ ধ্বংস করেছে। তাই তাদের বিচার হওয়া উচিত। আর্মেনিয়ার সেনা অবশ্য দাবি করে, এসব ধ্বংস হয়েছে আজারবাইজানের সেনার আক্রমণে।

প্রসঙ্গত আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে সরাসরি আজারবাইজানের পক্ষ নিয়েছিল তুরস্ক। দেশটি আজারবাইজানের সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য ও সমর্থন দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আজারি সেনাকে শক্তিশালী করতে সিরিয়া থেকে বাহিনী সরিয়ে এরদোগান সেখানে পাঠিয়েছেন। ফলে আজারবাইজানের জয় সহজ হয়েছে। সাম্প্রতিক এই সংঘাতে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সম্প্রতি মস্কোর মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। ফলে নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয়-বহুল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হয়েছে আর্মেনিয়াকে। এমনকি ১৯৯০-পরবর্তী সময়ে তারা যে ছয় জেলা অধিকার করেছিল, সেগুলোও আজারবাইজানকে দিয়ে দিতে হয়েছে।

আজারবাইজানের বিজয় উৎসবে যোগ দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তনের ডাক দেন। তিনি জানান, আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, একটা অসাধারণ জয়ের উৎসব করতে।

এরদোগান জানিয়েছেন, নতুন সরকার কিছু শর্ত মানলে আজারবাইজানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা হতে পারে। তিনিও তুরস্কের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সীমান্ত খুলে দেবেন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর