আমেরিকায় ফের মৃত্যুর রেকর্ড

ক্ষমতার হস্তান্তর নিয়ে ক্যাপিটল হিলে যখন ধুন্ধুমার চলছে, সেই দিনেই ফের রেকর্ড গড়ল আমেরিকা। বুধবার এক দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮৬৫ জনের।

দীর্ঘদিন ধরেই করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। পরিস্থিতি বদলের কোনও লক্ষণ নেই। দেশজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ। প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার। টিকাকরণ শুরু হয়েছে এ দেশে। ফাইজার ও মডার্না, দু’টি সংস্থার তৈরি টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন না-পাওয়ার অভিযোগ উঠছে সর্বত্র।

আমেরিকার কেনা ১ কোটি ৫০ লাখ ডোজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু অভিযোগ, এর দুই-তৃতীয়াংশই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

 

ফ্লরিডায় অভিযোগ উঠেছে, টিকাকরণের প্রথম ধাপে প্রবীণেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা না-পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

এদিকে ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করছে, হেল্পলাইন সারাক্ষণই ব্যস্ত। অনেকেরই দাবি, আগে থেকে ঠিকমতো পরিকল্পনা না-করার জন্য এই অবস্থা। এর মধ্যে আবার অতিসংক্রামক ‘ব্রিটেন-স্ট্রেন’ ধরা পড়েছে নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা, ক্যালিফর্নিয়া, কলোরাডোতে।

নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো নির্দেশিকা জারি করেছেন, ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে তার সদগতি করতে হবে। আমি চাই না, ফ্রিজে পড়ে থেকে টিকা নষ্ট হোক।

আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচিও জানিয়েছেন, টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় আরও জোর দেয়া উচিত। তার কথায়, এর থেকে ভালো কিছু আশা করেছিলাম। সত্যি… কোনও অজুহাত চলবে না। আমাদের অন্তত ২ কোটি টিকা দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল এত দিনে। কেন সব কিছু এত ঢিমে তালে চলছে, তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন ফাউচি।

নতুন স্ট্রেইনে সব চেয়ে খারাপ দশা ব্রিটেনের। স্বাস্থ্য দফতর নিজেরাই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে আরও অন্তত সাড়ে ৫ হাজার শয্যা প্রয়োজন। শিউরে ওঠার মতো পরিস্থিতি সাসেক্সে। এখানকার একটি বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের অর্ধেক প্রাণ হারিয়েছেন কোভিডে। ব্রিটেন স্ট্রেনের ভয়ে কাঁটা ইউরোপ। সীমান্ত বন্ধ করেও সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি। ইউরোপের প্রায় প্রত্যেক দেশেই নতুন স্ট্রেইন ধরা পড়েছে।

জার্মানি জানিয়েছে, বাড়াবাড়ি আটকাতে জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত লকডাউন চলবে। ফ্রান্স দ্রুততার সঙ্গে দৈনিক টিকাকরণ বাড়াচ্ছে। কিন্তু এ দেশে অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে ভরসা পাচ্ছেন না। টিকা নিতে অনাগ্রহীর সংখ্যাই বেশি।

অন্যদিকে, প্রায় সেরে ওঠা টোকিও’তে ফের এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন