‘আমি পিপি আমাকে ঢুকতে দে’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত ঘিরে। বিশেষত আলিয়া মাদ্রাসার সামনে আল্লামা কাশগরি হলের সামনে দেখা যায় জোরদার নিরাপত্তা। এই মোড় পেরিয়েই অস্থায়ী বিশেষ আদালতে প্রবেশ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই আদালতে প্রবেশের জন্য ওই মোড়ে সমবেত হয়েছেন খালেদা জিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা ছাড়া অন্য কোনো আইনজীবী আদালতে যেতে পারছেন না।

এ সময় পুলিশে ব্যারিকেডের মুখে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি পিপি (সরকারি কৌঁসুলি), আমাকে ঢুকতে দে’। তার এই কথা শুনে পুলিশ বলতে থাকে, ‘স্যার আমাদের কিছু করার নেই, ওপরের নির্দেশ’।

পরে জানা যায়, আদালতে ঢোকার জন্য এভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা ওই ব্যক্তি বিশেষ আদালত-৫’র পিপি শওকত আলম। তার মতো নানামুখী বাধায় পড়তে হচ্ছে খালেদার আইনজীবীদেরও। বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুসলে উদ্দিন জসীম। বিএনপিপন্থি এই অাইনজীবীকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি ভেতরে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এই মামলায় প্রথম থেকেই খালেদা জিয়ার ওকালতনামায় ছিলাম। অথচ আজ আমাকে আদালতে যেতে দিচ্ছে না। পুলিশ বলছে, মাত্র ৫-৭ জন আইনজীবী ভেতরে যেতে পারবেন।’

পরে সবপক্ষের অাইনজীবীদেরই ফটক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন খালেদা জিয়ার অাইনজীবীরা।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনও আদালতে পৌঁছাননি বিএনপি প্রধান। তিনি পৌঁছালেই রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

বাংলানিউজ