আমিই প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কিন্তু শেষ নই: কমলা হ্যারিস

জো বাইডেনের রানিং মেট হিসেবে জোড়া রেকর্ড গড়েছেন কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মহিলার পাশাপাশি হতে চলেছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্টও। কমলা হ্যারিস অবশ্য মনে করেন, তার এই জয়েই মার্কিন নারীদের রাজনৈতিক সাফল্য সীমাবদ্ধ থাকবে না।

ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেত্রী শনিবার রাতে বলেন, ‘‘হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আমিই প্রথম নারী। কিন্তু আমিই শেষ নই।’’ নির্বাচনে তার এবং বাইডেনের জয়কে ‘ঐতিহাসিক’ বর্ণনা করে কমলার মন্তব্য, ‘‘আজ রাতে প্রতিটি ছোট্ট মেয়ে দেখতে পাচ্ছে, এটি একটি সম্ভাবনাময় দেশ।’’ তার দাবি, এক শতক আগে যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির মাধ্যমে যে নতুন ধারার সূচনা হয়েছিল, তা এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে না।

প্রসঙ্গত, ভোটগণনা চলাকালীনই কমলার সঙ্গে তার নাতনির কথোপকথনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ছোট্ট নাতনিকে কমলা বলছেন, ‘তোমার যখন ৩৫ বছর বয়স হবে, তুমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের যোগ্য হয়ে উঠবে’।

জাতি এবং বর্ণের সীমারেখা পেরিয়ে আফ্রো-আমেরিকান, এশীয় বংশোদ্ভূত এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা অভিবাসী পরিবারের ছোট্ট মেয়েদের কাছে ‘ভিকট্রি স্পিচ’-এ কমলার আবেদন, ‘‘তোমরা স্বপ্ন দেখ।’’ সে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ অবশ্য ইতিমধ্যেই বলছেন, কমলার এই জয় আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে নারীদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করবে।

বক্তৃতায় তার মা প্রয়াত গোপালন শ্যামলাকে স্মরণ করে কমলা বলেন, ‘‘সম্ভবত এমন মুহূর্তের কথা তিনি কল্পনাও করেননি।’’ প্রসঙ্গত, তামিলনাডুর বাসিন্দা শ্যামলা মাত্র ১৯ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিসেবে আমেরিকায় পরিচিতি ছিল তার। ২০০৯ সালে শ্যামলা মারা যান।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন তার প্রচারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘নিয়মতান্ত্রিক বর্ণবৈষম্যের শিকড়’ উপড়ে ফেলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করা হবে বলেও আশ্বাস দেন কমলা। সেই সঙ্গে বাইডেনকে বর্তমান আমেরিকার সেরা নেতা বলে বর্ণনা করে জনতার উদ্দেশে তার মন্তব্য, ‘‘আপনারা এমন একজনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন, যিনি আমাদের মধ্যে সেরা।’’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ