আমাদের বিশেষজ্ঞরা ঘটনা ঘটে গেলে বড় বড় পরামর্শ দেন: তাপস

রাজধানীতে মশার ব্যাপক উপদ্রবের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা কৌশল পরিবর্তন করেছি। আশা করছি, আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথের পান্থকুঞ্জ বক্স কালভার্ট ও পান্থকুঞ্জ অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (সেকেন্ডারি ট্রানস্ফার স্টেশন-এসটিএস) উদ্বোধন শেষে তাপস একথা বলেন।

ঢাকাবাসীকে একটু ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আমরা কৌশল পরিবর্তন করেছি। এখন আমরা যে কার্যক্রম নিচ্ছি, আমাদের সকালের কার্যক্রম ৪ ঘণ্টায় চলছে, বিকালের কার্যক্রম আমরা আরও বৃদ্ধি করেছি। সুতরাং আমরা আশাবাদী, আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে ডেঙ্গুর জন্য আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে আবার এপ্রিল থেকে আমরা কার্যক্রম আরম্ভ করব।

ডিএসসিসি মেয়র এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমরা যদি খালগুলো আরও দুমাস আগে পেতাম তাহলে হয়ত বা আমরা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আরও বেগবান করতে পারতাম। তাহলে ধীরে ধীরে কিউলেক্স মশার প্রভাব কমে যেত আমরা কীটনাশক পরিবর্তন করলে ফলাফল পেতাম।

নতুন কৌশল ও কীটনাশক কেন আগে পরিবর্তন করা হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, আমি একটি বিষয়ে আপনাদেরকে পরিষ্কার করতে চাই। আমাদের বিশেষজ্ঞ যারা আছেন, তারা ঘটনা ঘটে গেলে অনেক বড় বড় পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু ঘটনা ঘটার আগে আমাদের কী করণীয়, আমাদের কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সে রকম পরামর্শ আমরা পাই না। আমাদেরকে বলা হয়েছিল, ডেঙ্গুর প্রকোপটা যেহেতু আছে, তাই এই কার্যক্রম ডিসেম্বর পর্যন্ত চালিয়ে নিতে হবে। কিন্তু সেই কার্যক্রমটা ভুল ছিল। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদেরকে কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধে কার্যক্রম নেওয়া উচিত ছিল। কারণ পানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।

তিনি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে আমরা খালগুলো থেকে যে বর্জ্য অপসারণ ও চ্যানেল পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম শুরু করেছি, সেই কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার খাল থেকে বর্জ্য-পলি অপসারণ করা হয়েছে। এই সময়ে আমরা প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন বর্জ্য-পলি অপসারণ করেছি।

এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা-৪ সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সি মো. আবুল হাশেম, কাজী মো. বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর