আবুল কালাম আজাদের প্রথম বই ‘ঘুমন্ত বিবেক ও বাণিজ্যিক মানবতা’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সমসাময়িক বিষয় নিয়ে (মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর অপরাধ, ধর্ম ও রাজনীতির ইতিহাস) রচিত হয়েছে সাংবাদিক আবুল আলাম আজাদের ‘ঘুমন্ত বিবেক ও বাণিজ্যিক মানবতা’। বইটি ‘হাওলাদার প্রকাশনী’ বাজারে এনেছে। এর মূল্য ২৫০ টাকা।

বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘মূলত আমি লেখক হিসেবে আমার সামাজিক দায়কে অস্বীকার না করে পাঠককে দিতে চেয়েছি সমসাময়িক বিষয়ক একটি উপাখ্যান।

তিনি বলেন, সমসাময়িক বিষয় নিয়েই লিখতে বেশি পছন্দ করি। ঘুণেধরা এ সমাজের মানুষের ঘুমন্ত বিবেককে লিখুনির মাধ্যমে জাগ্রত করতে চাই।

‘লিখতে লিখতে কিভাবে যেন লেখার প্রতি প্রেম জন্মাল, বুঝতে পারিনি। ভালো লাগার সঙ্গে ছিল লেখার প্রতি দায়িত্বশীলতা। দুটোকে রক্ষা করতেই পেশা হিসেবে নিয়েছি লেখালেখিকে। জানি না কতটা পেরেছি। যদিও লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নিয়ে জীবনধারণ করা আমাদের দেশে এখনও বেশ অসম্ভব, তবু পেশার স্থলে ‘লেখক’ লিখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমি।’

লেখালেখির আগ্রহ ছোট বেলা থেকেই, ২০০৬ সাল থেকে জাতীয় দৈনিকের মাধ্যমে তার লেখার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়।

সমসাময়িক যারা লিখছেন, তাদের অনেকের লেখাই তার ভালো লাগে। প্রিয় লেখকের মধ্যে রয়েছেন- উবায়দুর রহমান খান নদভী (লেখক ও সাংবাদিক) এবং আবুল আসাদ (সাইমুম সিরিজের লেখক ও সাংবাদিক)।

এ ছাড়াও তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বসাহিত্য পড়লে ভালো লেখার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। ভালো লাগে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা। আর অনুপ্রাণিত হন লিও তলস্তয় ও ফিওদর দস্তয়েভস্কির লেখা পড়ে।

এত লেখালেখির শক্তি পান কোথা থেকে জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, আমি লিখব –এই মানসিকতাই লেখার প্রেরণা। লেখক হওয়ার জন্য পড়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে কলাম লিখতে হলে সংবাদপত্র নিয়মিত পড়তে হবে। সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে।

লেখালেখির পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন, আমার লেখার মধ্য দিয়ে পিছিয়ে পড়া সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। যুব সমাজের মধ্যে নেতৃত্ববোধ, দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চাই, লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। সৃজনশীল কাজে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করতে পারলে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ সব নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে একটি ইতিবাচক যুবসমাজ তৈরি সময়ের ব্যাপারমাত্র।