আবারো অবৈধভাবে পুঠিয়ায় চলছে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন


পুঠিয়া প্রতিনিধি :
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি এলাকায় ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন কাজ শুরু করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার সময় উপজেলার গোড়াগাছি এলাকায় পুকুর খনন কাজ করতে দেখা যায়। এসময় এলাকার বহু কৃষককে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও লক্ষ্য করা গেছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে হাশেম সরদার পুকুর খনন কাজ শুরু করলে স্হানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় লোকজন এস্কেভেটরের চাবি ও ব্যাটারী খুলে নিয়ে যায়। উপজেলার গোড়াগাছি এলাকার হাশেম সরদার ওই পুকুর খননের কাজ করছে। তিনি ওই এলাকা ছাড়াও আশেপাশে এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত পুকুর খনন কাজ করেন। অনেকে বলছেন হাশেম সরদার স্হানীয় প্রশাসন ও অন্যান্যদের সাথে সমঝোতা করে এ কাজ করে আসছেন। আর দিনের বদলে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের বেলা করছেন কাজ। আর ওই পুকুর খননের মাটি কাঁচা-পাকা রাস্তা নষ্ট করে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। নষ্টও হচ্ছে সরকারি রাস্তা। এতে করে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এছাড়াও বিগত দিনে কয়েকটি পুকুর খনন হওয়ার ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। একই এলাকায় হাশেম সরদার ছাড়াও নতুন করে ফসলি জমিতে পুকুর খননের প্রস্তুতি নিয়েছেন এলাকার প্রভাবশালীরা। নতুন করে পুকুর খননের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বার স্হানীয়রা মানববন্ধনও করেছিলেন ওই এলাকার মানুষেরা। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে পুকুর খননের ফলে পাশের রাস্তা বা পানের বরজসহ আবাদি ভিটা জমি ভেঙ্গে নেমে যাচ্ছে পুকুর গর্ভে। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে উভয় পক্ষের মাঝে দ্বন্দ্ব।

আবারো পুকুর খননের বিষয়ে আব্দুল হামিদ ও ফজলুর রহমান নামের দুই ব্যক্তি বলেন, আমাদের এলাকায় কুকুর খননের ফলে আবাদি ফসলি জমি সব শেষ হয়ে গেছে আর যতটুকু আছে তাও এবছর থাকবে না। আমরা গরিব মানুষ তাই ওদেরকে নিষেধ করলেও শোনে না। এখানে হাশেম সরদার পুকুর খনন করছে অথচ এখানেই ১৫ টির মত মেহগনি ও তাল গাছ ছিল পুকুর খনন করার সুবাদে তা কেটে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ,কে, এম নূর হোসেন নির্ঝর জানান, তিন ফসলি কৃষি জমিতে কোন ভাবেই পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। কেউ পুকুর খননের প্রস্তুতি নিয়ে থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#