আবারও হচ্ছে ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পুঁজিবাজারে চলমান দরপতন ঠেকাতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় সরকার গঠিত ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল পুনর্বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে এই টাকা বিনিয়োগ হবে। নতুন এ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আওতাও বাড়ানো হবে।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটে। ব্যাপক দরপতনে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে সংশ্লিষ্টরা দফায় দফায় বৈঠকও করছে। এই দরপতনের মধ্যে ২০১৩ সালে বিশেষ সহায়তা তহবিলের অর্থ পুনর্বিনিয়োগের প্রস্তাব বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণায়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সায় দিলে আগামী সপ্তাহেই এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের প্রায় তিন বছর পর ২০১৩ সালে ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল নামে ৯০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করে সরকার। এটি পরিচালনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে একই বছরের ১৯ আগস্ট একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ওই নীতিমালা অনুসরণ করে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঋণ দিয়ে আসছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এরই মধ্যে ওই তহবিলের সিংহভাগ টাকাই ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, পুুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার স্বার্থে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে এ তহবিল পুনর্বিনিয়োগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে চিঠিতে। অর্থাৎ এ পদ্ধতির আওতায় এই ৯০০ কোটি টাকা পুনর্বিনিয়োগ হবে। এ ছাড়া এবার শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নয়, এ তহবিলের সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বাড়াতে চাইছে সরকার। পাশাপাশি তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দিতে ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়। এ তহবিল গঠনের পর তিন কিস্তিতে ৩০০ কোটি টাকা করে আইসিবির অনুকূলে অর্থ ছাড় করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি, ২০১৫ সালের ১ জুন দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি এবং একই বছরের ৩০ জুন সর্বশেষ কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়। এই ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে এরই মধ্যে আইসিবি ঋণ বিতরণ ও আদায় শেষে সুদাসল বাবদ প্রায় ৮৫৬ কোটি টাকা সরকারকে ফিরিয়ে দিয়েছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রয়েছে।

আবারও এই ফান্ড চালু হলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ স্বল্প সুদে নির্দিষ্ট সময় মেয়াদে বিনিয়োগকারী ব্রোকারের হাউসের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারেই বিনিয়োগ করবে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘৯০০ কোটি টাকা তহবিল পুনর্বিনিয়োগে আবারও ছাড় হচ্ছে বলে শুনেছি। এখনো কাগজপত্র হাতে পাইনি।’