আপাতত সিরিয়ালকে ‘না’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পরপর দুটি জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ ও ‘সীমারেখা’র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী হালদার। জি বাংলার এই দুটি সিরিয়াল দিয়ে দর্শকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। কিন্তু এখন আর কোনো সিরিয়ালে আপাতত অভিনয় করতে চান না। কেন এই বিরতি? ইন্দ্রাণী হালদার বললেন, ‘সিরিয়ালের কাজ থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিচ্ছি। নিজের জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন। সেই “গোয়েন্দা গিন্নি” বা “সীমারেখা”—টানা ব্যস্ততা। আবার “সীমারেখা”য় দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছি। চাপ ছিল সে রকম। কোনো ছুটি নিতে পারিনি। আর একটা ব্যাপার, মনে হচ্ছে ক্রমাগত একই রকম কাজ করছি। একঘেয়েমি মনে হচ্ছে। তাই কয়েক দিনের ছুটি নিচ্ছি। কিছু সময় পর আবার সিরিয়ালে কাজ করব।’

বাংলা ছবির এই জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা একসময় চলে যান মুম্বাইয়ে। কয়েক বছর হলো মুম্বাই ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছেন। আর মুম্বাই ফিরতে চান না। ইন্দ্রাণী হালদার বললেন, ‘কলকাতায় চলে এসেছি। মুম্বাই ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। এখন কলকাতায় কাজ করছি। তবে মুম্বাইতে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও ভাগ্য কখন কাকে কোথায় নিয়ে যাবে, তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে?’

এদিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্রাণী হালদারের নতুন ছবি। নাম ‘বরফ’। পরিচালক সুদীপ চক্রবর্তী। শাশুড়ি আর বউমার সম্পর্ক নিয়ে গল্প। ইন্দ্রাণী হালদার বললেন, ‘ছবিতে আমি বউমা মৃত্তিকা। বয়স্ক শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে সংসারটা সামলে রেখেছে। আসলে মৃত্তিকা হলো মাটি। সে সব চাপ নিজের ওপর নিয়েছে এবং তা নিঃশব্দে। জল জমতে জমতে যেমন বরফ হয়, তেমনি মৃত্তিকা কীভাবে তিল তিল করে সংসার জমাট করে তোলে, সেটাই দেখা যাবে ছবিতে।’

ইন্দ্রাণী হালদার আরও বললেন, ‘এই ছবি দেখার পর শাশুড়ি আর বউমার সম্পর্ক নিয়ে নতুন ধারণা পাবেন দর্শক। এই সম্পর্ক কিন্তু সব সময় তিক্ত হয় না। আমি বউমার চরিত্রে আর স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনয় করেছেন শাশুড়ির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ করেছি। দারুণ অভিজ্ঞতা হলো। তাঁর বয়স ৬৮। এই বয়সেও তিনি তরতর করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গেছেন, আমাদের নানাভাবে সাহায্য করেছেন, তা দেখেছি আমরা।’

‘বরফ’ ছবির শুটিং হয়েছে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প আর ছাঙ্গুতে। ‘বরফ’ ছবির যখন শুটিং হচ্ছিল, তখন সেখানে ছিল খুব ঠান্ডা। এর মধ্যেই কাজ করছেন সবাই। ছবির গানগুলোর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন পণ্ডিত দেবজ্যোতি বসু ও শুভেন্দু মাইতি। গান গেয়েছেন অনুপম রায়, শিলাজিৎ ও ইমন চক্রবর্তী।