আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর আদালতে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিষ্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসানের নামে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন বগুড়ার এক আইনজীবী।

রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম তিনি এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ অভিযোগে ডা: মুরাদ হোসেন ছাড়াও আসামি করা হয়েছে মহিউদ্দিন হেলাল নামে অপর এক ব্যক্তিকে। এদিকে, আদলত অভিযোগ গ্রহন করে আদেশের জন্য রেখেছন বিচারক জিয়াউর রহমান।

মামলায় ভার্চুয়াল টকশো’র উপস্থাপক শেখ মহিউদ্দিন হেলালকেও আসামি করা হয়েছে। আদালতে মামলা করার সময় বাদী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদীসহ বগুড়া ও রাজশাহীর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, শেখ মহিউদ্দিন হেলালের ভার্চুয়াল টকশো’তে অংশ নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ব্যরিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভুত বক্তব্য দিয়েছেন তাই তিনি মামলাটি দায়ের করলেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করলেও কোন আদেশ দেননি। পরবর্তীতে আদালত এ ব্যাপারে আদেশ দেবেন।

সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এছাড়া তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে। এছাড়া ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় নানা সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মুরাদ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান।

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। মন্ত্রিত্ব ও পদ হারানোর পর তিনি বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৩ ডিসেম্বর এক লাইভ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন । মুহূর্তেই তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। পরে নারী অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ, বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ, এমনকি সরকার দলীয় অনেক নেতাকর্মীও বলছেন— এমন ‘অশালীন’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রতিমন্ত্রীর। তবে প্রতিমন্ত্রী নিজে বলছেন, এই ইস্যুতে ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।