আন্দোলন কেন ভিসি-বিরোধিতায় রূপ নিল, খতিয়ে দেখা হবে

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবিতে) হলের সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কীভাবে একদফার ‘ভিসি আন্দোলনে’ পরিণত হল, তার আদ্যোপান্ত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর হেয়ার রোডে সরকারি বাসভবনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কয়েক দফার আন্দোলন কিভাবে এক দফার আন্দোলনে পরিণত হল, তা আমরা খতিয়ে দেখবো। পাশাপাশি এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারও যদি কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি থাকে, অবহেলা থাকে তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা তিনি যেই হোন না কেন।’

দীপু মনি বলেন, ‘টানা আন্দোলনে তারা বিপর্যস্ত হয়ে আছে, এক্সোজটেড হয়ে আছে। তারা একটু সুস্থ হয়ে উঠুক। যদি তারা বলে, কয়েকটা দিন সময় দিয়ে বসতে চায়, তবে তাই হবে। এই আন্দোলন তো তাদের অভাব-অভিযোগের বহিঃপ্রকাশ। মূল সমস্যাটা আসলে কোথায়, সেটা আমরা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রশাসন, আমরা সবাই মিলে তা অ্যাড্রেস করব।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ‘শান্তিপূর্ণ’ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনা পক্ষ-বিপক্ষ নাই। আমরা সবাই একপক্ষে, সমস্যাটা আরেকপক্ষে। আমরা বলছি, সমস্যা সমাধান খুব জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ যেন সুস্থ, সুষ্ঠু থাকে, তারা যেন পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

এর আগে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। এর পর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন চালিয়ে আসছির শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের উপস্থিতিতে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। তবে অনশন ভাঙলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।-সূত্র : আমাদের সময়