আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তানকে ‘একঘরে’ করার দাবি ভারতের

হাফিজ সাঈদ, মাসুদ আজহার ও এহসানউল্লাহ এহসানের মতো জঙ্গি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের অনীহা সন্ত্রাসবাদে দেশটির রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার বড় প্রমাণ বলে দাবি করেছে ভারত। এসব জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল ও ভারতীয় সংসদে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও পাকিস্তান সরকার এদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তাই ভারতের দাবি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত পাকিস্তানকে ‘একঘরে’ করে রাখা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইর বরাতে গত ২০ আগস্ট এ খবর প্রকাশ করেছে ইয়াহু নিউজ।

সংসদের স্পিকারদের পঞ্চম বিশ্ব সম্মেলনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকারের পর্যবেক্ষণ শেষে জবাবে ভারত জানায়, পাকিস্তানকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে এবং এ ধরনের পদক্ষেপগুলো কঠোরভাবে দেখা দরকার। ভারতের পদক্ষেপকে দুর্বলতা হিসেবে দেখা উচিত নয়।

ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা এ বিষয়ে এক টুইট বিবৃতি দেন। বিরলা সংসদের স্পিকারদের পঞ্চম বিশ্ব সম্মেলনে ভারতীয় সংসদীয় প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন।

বিবৃতিতে ভারত জানায়, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যার প্রধানমন্ত্রী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ‘ওসামা বিন লাদেনকে’ তাদের সংসদে একজন ‘শহীদ’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এতে আরো বলা হয়, পাকিস্তান সন্ত্রাস রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ। তাদের অন্তত ছয় হাজার মানুষ এখনো সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ কমাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দেশটিকে একঘরে করে রাখা।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৪০ হাজারের কাছাকাছি মিলিশিয়া তাদের দেশে রয়েছে। পাকিস্তানের আগ্রাসনে জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ (কারগিল), মুম্বাই ও সংসদ, উরি, পুলওয়ামাসহ অনেক জায়গায় হামলা হয়। এসব কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানের হাফিজ সাঈদ, মাসুদ আজহার ও এহসানউল্লাহ এহসানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে পাকিস্তান তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতেই সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং থাকবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ