আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ । বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে একযোগে দিবসটি পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ ২০০২ থেকে কাজ শুরু করে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করে। ইংরেজিতে নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয় তাতে ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম-প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানুষদের স্মরণে এবং গুমের বিরুদ্ধে সচেতনতনতা গড়ে তুলতেই দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।

উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল, গণতান্ত্রিক কিংবা স্বৈরতান্ত্রিক-সব রকমের ব্যবস্থাতেই গুমের ঘটনা অব্যাহত আছে। আর গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাকর্মীর পাশাপাশি আছে সাধারণ লোকজনও।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে, ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর সিরিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ গুম হয়েছে। এদের মধ্যে বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীর পাশাপাশি আছে বেসামরিক লোকজনও।

এমনকি বেতনের টাকা তুলতে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ঢুকে দেশটিতে গুম হয়েছেন অনেক শিক্ষক। বেসামরিক লোকজন গুম হচ্ছে শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, বসনিয়াসহ অন্য দেশগুলোতেও।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সরকারি বাহিনী কিংবা সরকারদলীয় লোকজনই গুমের জন্য দায়ী। আর গুমের পর সরকার তা স্বীকারও করে না। জাতিসংঘের `ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্স অ্যান্ড ইনভলান্টারি`র সভাপতি অ্যারিয়েল দুলিৎস্কি বলেন, `এখনো গুমের ঘটনা অব্যাহত আছে।

আমরা ৮৮টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এসব দেশের যেখানে-সেখানে মানুষ গুম হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল, গণতান্ত্রিক কিংবা স্বৈরতান্ত্রিক-সব রকমের দেশই আছে।`

লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ১৯৭০ ও ৮০-র দশকে কেবল অবৈধ অস্ত্র কারবারি ও ভিন্নমতাবলম্বীরাই গুম হতো।

কিন্তু বর্তমানে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী, মাদক ব্যবসায়ী ও মানবপাচাকারীদের মধ্যেও গুমের ঘটনা দেখা যায়। অ্যামনেস্টি জানায়, ২০০৭ সাল থেকে মেক্সিকোয় ২৫ হাজার মানুষ গুম হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষ্যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব সলিল শেঠি বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার গুমের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছে।

এই দিনে বিশ্বব্যাপী আমাদের প্রতি লাখ লাখ মানুষের সমর্থন নৃশংস গুম করা বন্ধ করতে সরকারগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করবে।’

 

 

 

 

সূত্র: রাইজিংবিডি