আদালতে খালেদা জিয়া

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

 

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর আদালতে পৌঁছায়। পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

 

এর আগে এই মামলায় গত ১০ নভেম্বর আদালতে হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তাকে তার পক্ষে জেরা করা হয়। জেরা শেষে আত্মপক্ষ শুনানির বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন জানিয়ে দুই সপ্তাহ সময় নেন খালেদা জিয়া।

 

ওই দিন আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২৪ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। কিন্তু ২৪ নভেম্বর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি জানিয়ে তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়।

 

ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ১ ডিসেম্বর ধার্য করেন।

 

এদিকে একই আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটিরও ধার্য তারিখ রয়েছে আজ। মামলাটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদকে জেরা করছেন তার আইনজীবীরা। গত ১৭ নভেম্বর এ মামলার প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ করেন তার আইনজীবীরা।

 

প্রসঙ্গত, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক।

 

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

 

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

 

আসামি তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু হতেই পলাতক।

 

অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

 

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

 

সূত্র:রাইজিংবিডি