আদমদীঘিতে মানা হচ্ছে না লকডাউন জমজমাট হাট-বাজার

আদমদীঘি প্রতিনিধি, বগুড়া :


বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তৎপর থাকলেও থামছে না জনসমাগম। স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে স্বাভাবিক জীবনযাপনের মতো মানুষের চলাফেরা ও ভিড় করে কেনা-বেচা চলছে। সামাজিক দূরত্বও কেউ মেনে চলছেন না। ফলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

আদমদীঘি উপজেলার শাঁওইলে ঢাকাফেরত এক পুলিশ সদস্যের প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের পর উপজেলা লকডাউল ঘোষনা করা হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল রাত থেকে সমগ্র উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তবুও আদমদীঘি সদর, সান্তাহার পৌর এলাকা, নসরতপুর, মুরইল, কুন্দগ্রাম, চাঁপাপুর, ছাতিয়ানগ্রামের হাট-বাজার গুলোতে গিয়ে দেখা যায়- জনসমাগম একটুও কমেনি। সকাল সন্ধ্যায় চা-দোকানে আড্ডা চলছে। কিছু কিছু মুদি দোকান খোলা রয়েছে। ক্রেতারা সেখানে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ভিড় করে মালামাল কিনছেন। মাছ ও মাংস বাজারের চিত্রও একই রকম। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ভিড় করে মাছ ও মাংস কিনছেন তারা। ক্রেতাদের অধিকাংশ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। বিশেষ করে লকডাউন উপেক্ষা করেই এসব জায়গায় নিয়মিত হাট বসছে। এ সময় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের আগমন টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পালাতেও দেখা যায়।

সম্প্রতি আদমদীঘি সদরে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে হাট বসানোর অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ইজারাদারের প্রতিনিধিদের জরিমানা করেন। তাছাড়া গত সোমবার দুুপুরে লকডাউন অমান্য করে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের হাটখোলা মোড়ে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবুও সামাজিক দূরত্বও কেউ বাজায় রাখছেন না।

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। এরপরও কেউ সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

স/আ