আদমদীঘিতে টিসিবি পণ্যের চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম

আদমদীঘি  প্রতিনিধি :
বগুড়ার আদমদীঘিতে ভোজ্য তেল ও ডালসহ অন্যান্য পণ্য চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ডিলারদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বরাদ্দ কম থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশ চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া জেলা সদর ও বিভাগীয় শহরে প্রায় প্রতিদিনই ট্রাকে করে টিসিবি পণ্য সরবরাহ করা হলেও এ উপজেলায় চলতি মাসে মাত্র ৪দিন সরবরাহ করার খবর পাওয়া গেছে। এমন বৈষম্যের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, বগুড়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ১৬৮ দশমিক ৮৪বর্গ কিলোমিটারের একটি উপজেলা আদমদীঘি। ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এ উপজেলায় গ্রাম রয়েছে ১৭৯টি। রয়েছে নানা ধরনের খাদ্য সংরক্ষনাগার যেমন- সাইলো, সিএসডি, এলএসডি ইত্যাদি। এতোকিছুর পরও এ উপজেলার মানুষ নানা ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সম্প্রতি করোনা মহামারী শুরু হলে বেকায়দায় পড়েন কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ। ফলে তারা তাকিয়ে থাকছে সরকারের দেয়া নানা ধরনের বরাদ্দের দিকে। আর এ কারনে টিসিবি পণ্যের বরাদ্দের তুলনায় চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

আদমদীঘির সান্তাহারে টিসিবি ডিলার মেসার্স দেবনাথ ট্রেডার্সের প্রতিনিধি অশিত দেবনাথ বাপ্পা জানান, চলতি মাসের গত ২ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৪দিন তারা পণ্য পেয়েছেন। এরমধ্যে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ্য জায়গা সান্তাহারে ১দিন, আদমদীঘি সদরে ১দিন, চাঁপাপুর ১দিন ও নশরতপুরে ১দিন এসব পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে। তারা করোনার মধ্যে যেভাবে এক মাসে মাত্র ৪দিন টিসিবির পণ্য পেয়েছেন তাতে অধিকাংশ মানুষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বগুড়ায় প্রায় প্রতিদিনই ডিলাররা ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকায় টিসিবি পণ্য সরবরাহ করছেন। অথচ প্রায় একমাসে মাত্র ৪দিন টিসিবি পণ্য পেয়েছেন আদমদীঘি উপজেলার সাধারণ মানুষ। জেলার অন্যান জায়গার সাথে এ উপজেলার কেন এমন বৈষম্যতা? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারন মানুষের মনে।

এবিষয়ে জানতে চেয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে টিসিবির বগুড়া রিজিওনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জামাল উদ্দিন ও আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

স/অ