আত্রাই-কালীগঞ্জ সড়ক মৃত্যু ফাঁদ, জনদুর্ভোগ চরমে

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :


নওগাঁর আত্রাই-কালীগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি এখন যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আত্রাই সদর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় সব জায়গাতে কার্পেটিং উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সৃষ্টি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই গর্তগুলোতে পানি জমে। এতে যানবাহন চলাচলের সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিকল হচ্ছে যানবহনও।

জানা যায়, আত্রাই- কালীগঞ্জ সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এ সড়ক দিয়েই যেতে হয় পতিসর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত তার কুঠিবাড়িতে। যেটি এখন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের রয়েছে আসা-যাওয়া। এ ছাড়াও আত্রাই থেকে বগুড়ার সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা আত্রাই-কালীগঞ্জ সড়ক। এদিকে উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি, সোনাইডাঙ্গা, বাঁকা, মনিয়ারী ইউনিয়নের কচুয়া, পালশা, নওদুলী, দিঘীরপাড়, মস্কিপুরসহ ওই এলাকার অর্ধশতাধিক গ্রামের লোকজনের উপজেলার সাথে যোগাযোগের জন্য এ সড়কের বিকল্প নেই। এলাকার হাজার হাজার জনগণকে বিভিন্ন প্রয়োজনে এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে আসতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। বিশেষ করে কোন রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ্য লোকও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনা।

আত্রাই সিএনজি স্ট্যান্ড মাস্টার রাজু বলেন, আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন হতে কালীগঞ্জ হয়ে বগুড়া এ রুটে প্রতিদিন শতাধিক সিএনজি চলাচল করে। বেশ কয়েক বছর থেকে এ সড়কের বেহাল দশা হয়ে রয়েছে। আমাদের সিএনজি চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে সিএনজি চালান। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় ওই জায়গাগুলোতে বিভিন্ন সময় ভটভটি, অটোরিক্সা ও সিএনজি উল্টে গিয়ে অনেকে আহতও হয়েছেন। জনদুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

শফির উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন কাজে আমাদের প্রতিনিয়ত উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়। সড়কটির এ বেহাল দশা হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

নওগাঁ এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, আত্রাই- কালীগঞ্জ সড়কের সংস্কার কাজের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ঠিকাদারও নির্বাচন হয়েছে। বর্ষাকাল শেষ হলেই কাজ শুরু করা হবে।

তিনি বলেন, এবারে এ সড়ক প্রস্থে আরও বাড়ানো হবে এবং টেকসই রাস্তা নির্মাণ করা হবে।