আত্রাইয়ের হাট-বাজারে এখন সুমিষ্ট রসালো ফল কাঁঠাল

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই :


জৈষ্ঠের এ মধুমাসে নওগাঁর আত্রাইয়ের প্রতিটি এলঅকার গাছে গাছে ও হাট-বাজারে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। কাঁঠাল পাকতে শুরু করায় এখন উপজেলার হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে সুমিষ্ট রসালো ঘ্রাণ সমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল। পাকা কাঁঠালের সুগন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন বাড়ি ও বিভিন্ন কাঁঠাল বাগান। মৌমাছিরাও কাঁঠালের ঘ্রাণ নিতে বাগানে ভোঁ ভোঁ শব্দ করে এ ডাল থেকে ও ডালে উড়ে বেড়াচ্ছে। এ যেন মনমুগ্ধোকর এক দৃশ্য।

উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে দেখা গেছে কাঁঠালের বাম্পার ফলন। এসব এলাকার বাড়িতে, রাস্তার ধারে, জঙ্গলের ভেতরে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর পরিমাণ কাঁঠাল। গাছের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল।

আত্রাই উপজেলার মানুষের অতি প্রিয় ফল ও তরকারি হিসেবে কাঁঠাল যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বিচি এখানকার মানুষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তরকারি। পাটশাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা শোলকা দিয়ে এখানকার মানুষ তৃপ্তির সঙ্গে ভাত খেতে পারেন। গবাদিপশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নতমানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

উপজেলার মির্জাপুর-ভবানীপুর বাজারের ব্যবসায়ী ভুট্টু বলেন, কাঁঠাল আমার একটি প্রিয় ফল। অত্যধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফল আমি প্রতি মৌসুমে বেশি করে খাই। কাঁঠালের কোনো অংশই পরিত্যক্ত থাকে না। এর বিচি তরকারি হিসেবে ও ছাল গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় কাঁঠালের কদর বেড়েছে।

কাঁঠালের কদর ও বহুগুণের এমন কথা জানালেন শাহাগোলা গ্রামের আজাদ সরদার বলেন, বহুগুণ সমৃদ্ধ এ কাঁঠাল এখানকার হাট-বাজারে এখনও উঠতে শুরু করেছে। জ্যৈষ্ঠের শেষ ও আষাঢ় মাসের শুরু থেকে এখানকার হাট-বাজারে কাঁঠাল কেনাবেচা পুরোদমে শুরু হয়েছে। উৎপাদনে খরচ নেই ও বাজারে চাহিদা থাকায় এ জনপদে কাঁঠালের গাছ রোপণ করে অনেকে কাঁঠাল বিক্রিতে বাড়তি আয় করেন। এখানকার হাট-বাজারে একটি কাঁঠাল সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার মিরাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর অতিমাত্রায় ঝড় বৃষ্টিপাতের কারণে বহু বাগানে কাঁঠালের মুচি ঝরে যাওয়ার পরও বাম্পার ফলন হয়েছে বলে আমি আশা করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউছার হোসেন জানান, আত্রাই উপজেলায় তেমন একটা কাঁঠালের বাগান নেই তবে দিন দিন বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় দিন দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জনগণ কাঁঠাল গাছ রোপন করছে।

স/অ