বৃহস্পতিবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আতহার বললেন বিপিএল, জাতীয় দল আর আশরাফুলকে নিয়ে

Paris
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯ ৭:১৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঘরোয়া পর্যায়ে সবচেয়ে বড় আর জাঁকজমক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএল শেষ হচ্ছে শুক্রবার। এবারের ৬ষ্ঠ আসরটি ছিল বিশ্বের নামী-দামী সব তারকায় ঠাসা। মাসব্যাপী চলা এই টুর্নামেন্ট শেষ হতে না হতেই ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে টাইগারদের নিউজিল্যান্ড সফর। এদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। ৩০মে থেকে শুরু হতে চলা ক্রিকেট মহাযজ্ঞের আগে নিজেদের কতটা গুছিয়ে নিল টাইগাররা? বিপিএলটাই বা কেমন হলো এবার? এসব নিয়েই ‘কালের কণ্ঠ – রবি ফেসবুক লাইভ’ এ কথা বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এবং খ্যাতিমান ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান।

বিপিএল কেমন লেগেছে?

আতহার : বিপিএল খুব ভালো হয়েছে। আমাদের দেশে যখন বিপিএল চলছে, ঠিক একই সময় চলছে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগও। যদি আমরা বড় নামের প্লেয়ার যদি খুঁজি, তবে সেটা বিগ ব্যাশের চেয়ে বিপিএলের অবস্থা ভালো। এটা দেশের ক্রিকেটের জন্য খুবই বড় বিষয়। বড় ক্রিকেটারদের আগমনে বিপিএল কিন্তু আইপিএলের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। কোনো টুর্নামেন্টে যখন বড় বড় খেলোয়াড়রা আসে, তখন দর্শক-সমর্থকদের কাছে এর আকর্ষণটা বেড়ে যায়। যা আমাদের লোকাল ক্রিকেটারদের জন্যও ভালো।

এটা তো দেশের ক্রিকেটারদের জন্য শেখার দারুণ সুযোগ

আতহার : আপনি এক-দুই দিনে স্কিল পাল্টে ফেলতে পারবেন না। আমার খেলার জীবনে যদি ফেরত যাই- আমরা যদি এমন কিছু সুযোগ পেতাম, তাহলে সেটা কাজে লাগাতে পারতাম। এটা কিন্তু বিরাট সুযোগ। এখন যেমন, ড্রেসিংরুমে পাশে বসে আছেন ক্রিস গেইল! …আমাদের সময়ে বিখ্যাত শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা লিগ খেলতে আসতেন। তখন আমাদের টার্গেট থাকত তাদের সামনে কিছু করে দেখাতে পারলে নির্বাচকদের নজরে পড়া যাবে। জাতীয় দলে ঢোকা যাবে।’

বিপিএল ফাইনালে তো সাকিব আর তামিমের টিম উঠেছে; কেমন উত্তেজনা হবে?

আতহার : এটা বিগ গেম… বিগ গেম। একসময় কিন্তু ঢাকা ডায়নামাইটসের অবস্থা খারাপ ছিল। সাকিব আল হাসানের দলটা কিন্তু টুর্নামেন্ট দারুণ শুরু করেছিল; কিন্তু একটা সময় ৫টা ম্যাচ টানা হেরেছিল। আমি যেহেতু ঢাকার ছেলে তাই টান আছে ঢাকার প্রতি। সবাই চেয়েছিল ঢাকা অন্তত ফাইনালে যাক। অন্যদিকে রংপুর রাইডার্স ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়; ক্রিস গেইলের মতো ক্রিকেটার থাকায় তাদেরকেও ফাইনালে দেখতে চাইছিল অনেকে। যেহেতু ঢাকা ৫টা ম্যাচ হেরেছে, সেহেতু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আশা করতেই পারে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স মানেই তামিম ইকবাল নয়। তামিম একজন গ্রেট প্লেয়ার; আমার প্রিয় প্লেয়ার। কিন্তু সে শুরুটা ভালো করতে পারছে কিন্তু শেষ করতে পারছে না। তার সঙ্গে আরও কয়েজন আছেন যেমন শহিদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। সুতরাং আমি একটা হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আশা করছি।

নিউজিল্যান্ডে সফরের জাতীয় দল নিয়ে আপনার মতামত

আতহার : দলটা মোটামুটি ব্যালেন্সড। প্রথমে তিনটা ওয়ানডে আছে। আমি তো মনে করি ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে বিশ্বের শীর্ষ দলগুলোর একটি। আইসিসি র‌্যাংকিংয়েও ৭ নম্বরে আছে। আর মুশফিক একটা ভালো কথা বলেছে, ‘আমাদের এটা বিশ্বকাপ প্রস্তুতি’। সম্প্রতি ভারত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে খেলেছে, শ্রীলঙ্কা খেলেছে অস্ট্রেলিয়ায়- সবার কিন্তু একটাই উদ্দেশ্য- বিশ্বকাপ। যদিও আমরা টি-টোয়েন্টি খেলে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছি, কিন্তু আমার মতে ফরম্যাট কোনো বিষয় না। ওখানে তিনটি ওয়ানডে খেলে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে। এরপর বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। এটা খুব পারফেক্ট সেটিং। বাকী দলগুলোর জন্য একটা শক্ত বার্তা দেওয়ার সুযোগ যে- আমাদের হালকাভাবে দেখার কিছু নেই। আরেকটা কথা আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি- বাংলাদেশ একটি ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ এবারের বিশ্বকাপে ‘এক্স ফ্যাক্টর’!

এই দলে থাকা নতুনদের মধ্যে কাদেরকে আপনি সম্ভাবনাময় বলতে চান?

আতহার : নতুন বলতে…আমার খারাপ লাগছে যে তাসকিন মিস করে গেল। ওয়ানডে দলের কথা যদি বলি- মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাঈম হাসানরা নতুন হিসেবে যাচ্ছে বিশ্বকাপে। তবে আমি মনে করি সাব্বির পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। সে খুব ক্লিন হিটিং করতে পারে। আর সুপারস্টার বলতে গেলে সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদরা ভালো করে যাচ্ছে। আর বোলিং নিয়ে চিন্তার সুযোগ নেই- আমাদের ফিজ আছে। মেহেদী মিরাজ খুব ভালো বল করছে, রুবেল খুব ইমপ্রেসিভ। এশিয়া কাপ থেকেই তার বোলিং বদলে গেছে। আমি মনে করি এটা খুবই শক্তিশালী টিম।

সাব্বিরের জন্য তাহলে এটা কঠিন চ্যালেঞ্জ?

আতহার : হ্যাঁ, আমার মনে হয় তার একটা চ্যালেঞ্জ নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে তাকে বুঝতে হবে, মানুষ হিসেবে আমাদের একটু নম্র হওয়া উচিত। যাদের সঙ্গে গল্প করি তাদের রিঅ্যাকশন নিয়ে না ভেবে, নিজের দায়িত্ববোধ নিয়ে চিন্তা করা উচিত। যারা জাতীয় দলের খেলোয়াড় হওয়ার সুযোগ পানা তারা কিন্তু দেশের প্রতিনিধি হয়ে যান। প্রতিটি ক্রিকেটারের হাতে আমাদের জাতীয় পতাকা আছে। তাদের সেভাবেই চলাফেরা করা দরকার যাতে কেউ কথা বলতে না পারে। তাকে আরও ডিসিপ্লিনড হতে হবে।

আশরাফুলকে আমরা জাতীয় দলে দেখতে পাব কিনা, আপনি কী মনে করেন?

আতহার : এখানে আমার বলার কিছু নাই। এটা নির্বাচকদের ব্যাপার। আমরা জানি এবারও সে বিপিএল খেলেছে। আমার মনে হয় ফিটনেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি শতভাগ ফিট না হলে… খুব কঠিন। আমাদের জাতীয় দলের দিকে যদি দেখি.. আশরাফুল কার জায়গায় খেলবে? এটা খুবই কঠিন। পারফর্মেন্স ছাড়া তো মনে হয় না নির্বচকেরা সুযোগ দেবে। আপনাকে নির্বাচকদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

বিশ্বকাপ দল গঠনের জন্যও তো ক্রিকেটারদের এখন নিজেদের প্রমাণ করতে হবে…

আতহার : অবশ্যই বাংলাদেশ কিন্তু এখন প্রফেশনাল টিম। ২০১৪ সালে যখন মাশরাফিকে দ্বিতীয়বার ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল, আমরা তার আগের দিকে ফিরে তাকাতে পারি। কারণ এরপর থেকে সাফল্যের হার অসাধারণ। আমরা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছি। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছি। এবার যাচ্ছি ২০১৯ বিশ্বকাপে। আমি মন বলছে, বড় কথা বলতে চাই না, আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে এবং বাংলাদেশ ফাইনাল জিতবে। এটা আমার বিশ্বাস। আমি খুব সিরিয়াস। ওয়ানডেতে দলের যে উন্নতি দেখছি, তাতে যদি বিশ্বকাপ জিতে যায় তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

 

সর্বশেষ - খেলা