আতঙ্কে বন্ধ হচ্ছে রামেক হাসপাতালের করোনা ব্রিফিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিং করে আসছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতের একটি টিম। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের ফটকের সামনে এই ব্রিফিং করতেন মেডিকেল টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আজাদ।

সেখানে উঠে আসতো রামেকের করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার তথ্য। কিন্তু আগামীকাল বুধবার থেকে আর এই ব্রিফিং হচ্ছে না। অনলাইনেই ব্রিফিং করবে মেডিকেল টিম।‘হাসপতাল করোনার ঝুঁকিমুক্ত নয়’ উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসাধীন ৮০ বছর বয়সী এক রোগীর দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই এই সিদ্ধান্ত এল। বর্তমানে রাজশাহীর আইডি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ওই রোগীকে। গত ১৭ এপ্রিল রামেক হাসপাতালে ভর্তি হন ওই রোগী। পর সোমবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা হয়। সেখানে তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। রাতেই এই ফল প্রকাশ হলে আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালজুড়ে।

মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ডা. আজাদ বলেন, জ্বর ও প্রস্রাবের সমস্যার কথা বলে ভর্তি হয়েছিলেন ওই রোগী। সেভাবেই তার চিকিৎসা চলছিলো। কিন্তু এক্স-রে করার পর তার করোনার উপসর্গ কিছুটা বোঝা যায়। এর পর তাকে করোনা ওয়ার্ডে নেয়া হয়। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তার। সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে তার করোনা চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত ভাল আছেন। তার সঙ্গে স্ত্রী ও ছেলে রয়েছেন। তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে মঙ্গলবার। পরীক্ষা করে দেখা হবে তাদের অবস্থা।

এছাড়াও সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে আরও যে নয়জন ভর্তি রয়েছেন তারা সুস্থ আছেন। তাদের নমুনায় করোনা পাওয়া যায়নি। তাদের ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ডা. আজাদ আরও বলেন, রাজশাহীতে আক্রান্ত অপর সাত রোগী ভাল রয়েছেন। সবার চিকিৎসা চলছে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। ১৪ দিন পার হওয়ার পর প্রত্যেকের দ্বিতীয় পরীক্ষা করা হবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিদ ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।