সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
নওগাঁর রাণীনগরে সাতটি ঘর পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
খবর পেয়ে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাণীনগর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে রোববার গভীর রাতে উপজেলার পাকুড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাণীনগর, নওগাঁ ও আদমদীঘি থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত যুবক শাপিন (৩৫) ওই গ্রামের আফছার আলীর ছেলে। অগ্নিকাণ্ডের সময় অতিরিক্ত ধোঁয়ায় তার মৃত্যু হয়।
শাপিনের বড় ভাই সেকেন্দার আলী বলেন, রোববার রাতে খাবার খেয়ে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ করেই রাত সোয়া ১টার দিকে বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখি। আমাদের চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন; কিন্তু আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারাও ছুটে আসে। এরপর তারাও আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে নওগাঁ এবং আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। পরে তিনটি ইউনিট মিলে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী জানান, ততক্ষণে তাদের সাত ভাইয়ের সাতটি মাটির দুতলা ঘর, আসবাবপত্র, ধান, চাল, সরিষাসহ সব মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন শাপিনের ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। তবে কিভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা বলতে পারেননি তারা।
রাণীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার জিয়াউল হক বলেন, শাপিন নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি অতিরিক্ত ধোঁয়ায় মারা গেছেন। এছাড়া আগুনে সাতটি বাড়ির সব মালামাল এবং তিনটি খড়ের পালা ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎক্ষণিক কিছু নগদ অর্থ, বস্ত্র, চাল-ডাল সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি নির্মাণ ও পুনর্বাসনে সার্বিক সহায়তা করা হবে।
রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগুনে নিহতের ঘটনায় শাপিনের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় ইউডি মামলা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর
