রাজশাহীতে ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শাহ মখদুম (র:) ঈদগাহে তাবলীগ জামায়াতের তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শনিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। এছাড়া ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারীদের ওই পথ পরিহার করে শান্তির পথে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ থেকে আসা তাবলীগ জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। এর আগে ফজরের পর থেকে কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মালানা রবিউল হক ও মাওলানা আবদুল মতিন মুসল্লীদের উদ্দেশে কোরআন ও হাদিস থেকে বয়ান রাখেন।
আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে রাজশাহী মহানগরী ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে সকাল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন। বেলা ১১টার আগেই ইজতেমা ময়দান ছাড়িয়ে এর আশপাশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ইজতেমা ময়দানের আশে পাশের সড়কগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, ইজতেমার আখেরী মোনাজাত উপলক্ষে আজ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হয়েছিল। ইজতেমা ময়দানে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে। মূল গেটে চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল। সেখানে স্থাপন করা পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে ছয়টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান এই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যে দিয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মাগরিবের নামাজের পর থেকে চলে মূল বয়ান।ইজতেমায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ২শ’টি তাবলীগ জামায়ত অংশগ্রহণ করেন।
তাবলীগ ইজতেমার সুরা সদস্য নাসির উদ্দিন জানান, এ বছর টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় রাজশাহীর মুসল্লিরা অংশ নিতে পারবে না। যারা কেবল ৪০ দিন কিংবা ১২০ দিনের জামায়াতে রাজশাহীর বাইরে থাকবেন তারাই শুধু অংশ নিবেন। তাই এখানকার ইজতেমাটি ছিল সর্ববৃহৎ।
স/অ