আক্কেলপুরে ৪ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষিকা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর চার শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছালমা বানু। ওই চার শিক্ষার্থীর মতে,গত মঙ্গলবারে এক ছাত্রী ম্যাডামকে দেখে হাত তালি দিয়ে হেসেছিলেন। তার উপর রাগ করে চার দিন পর গত শনিবার বিকেল তিন টার দিকে আমাদেরকে ক্লাস রুমে কোন কারণ ছাড়াই বেধরক পিটিয়েছেন।

 
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী শিক্ষিকা ছালমা বানুকে দেখে হাত তালি দিয়ে হেসেছিলেন। এ ঘটনার চার দিন পর গত শনিবার শিক্ষিকা ছালমা বানু ৪র্থ শ্রেণীর  বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস নেওয়ার সময় ৪র্থ শ্রেণীর ক্লাসের ১৪ নং রোল দেবশ্রী,৯ নং রোল পূজা,১১ নং রোল সূচনা এবং ৩১ নং রোল সংঙ্গীতাকে বেত দিয়ে বেধরক পিটিয়ে আহত করেন। পরে চার শিক্ষার্থী স্কুল ছুটি দিলে বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবার কে বিষয়টি জানালে  শিক্ষর্থীর অভিভাবকেরা   স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ দেয়। পরে  স্কুল পরিচালনা কমিটি সকল শিক্ষকদের কে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে চার শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে শিক্ষিকা ছালমা বানু ভুল স্বীকার করেন।


৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী পূজার ভাষ্যে, ‘ছালমা ম্যাডাম আমাদেরকে কোন কারন ছাড়াই বেত দিয়ে খুব মারিছে’।

 
স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যা ও স্কুল ছাত্রী পূজার মা সাথী রানী বলেন, আমার মেয়েকে পড়াশোনার জন্য মারেনি। তিনি অন্য একটি মেয়ের রাগ আমার মেয়ের উপর ঝেরেছে। আমার মেয়ের গায়ে বেতদিয়ে পিটিয়েছে মেয়ের শরিরের বিভিন্ন জায়গাতে মোটা ফোলা দাগ এখনও মিশেনি।

 
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সামছুল হুদা সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, শিক্ষিকা ছালমা বানুর একটু রাগ বেশী তিনি এ ঘটনায় অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। স্কুলের সম্মান রক্ষার্থে ওই শিক্ষিকাকে আমরা স্কুলে রাখব না।

 
গোপীনাথপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.বি সিদ্দিক বলেন, শিক্ষিকা ছালমা বানু স্কুলে খুব ভাল পড়াশোনা করান। কিন্তু রাগের বশে তিনি এমন কাজ করেছেন।

 
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদিরউজ্জামান বলেন,বিষয়টি তেমন জটিল নয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন চার শিক্ষার্থী অভিভাবকের সাথে ভুল বোঝা বোঝি হয়েছে এবং তা মিমাংসা হয়েছে।

স/শ