আওয়ামীলীগ নেতার কাণ্ড !

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের কালাইয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রী উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তৌফিকুল ইসলাম বুলবুল এক স্কুল শিক্ষকের সন্তান ও তার স্ত্রীকে বাড়ী থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জয়পুরহাট সদর থানায় অভিযোগ করেছে স্কুল শিক্ষক।

জানা গেছে, কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে ও শালাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জুয়েল তার ৫ বছরের সন্তান ও স্ত্রী জাহানারা বেগমকে নিয়ে গত ৬ মাস থেকে জয়পুরহাটের সদর উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

গত সোমবার ওই শিক্ষক প্রতিদিনের ন্যায় সকালে তার কর্মস্থলে যায়। স্কুল ছুটির পর বিকালে বাসায় ফিরে তার স্ত্রী ও সন্তানকে না পেয়ে খোঁজা-খুজি করতে থাকে। অনেক খোঁজা খুজির পরে মঙ্গলবার সকালে সে জানতে পারে তার স্ত্রী ও সন্তানকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভাড়া বাসা থেকে জোরপূর্বক কয়তাহার গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রী উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তৌফিকুল ইসলাম বুলবুল তুলে নিয়ে গেছে ।

এদিকে শিক্ষক জুয়েল লোক লজ্জায় কাউকে এ বিষয় জানাতে না চাইলেও স্ত্রী ও সন্তানের মায়া-মমতার কারণে মঙ্গলবার বিকালে কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনফুজুর রহমান মিলনকে বিষয়টি অবগত করেন।

এ খবর দ্রুত জেলার সকল স্থানে ছড়িয়ে পড়লে জেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নানা ধরণের কানাঘোষা ও কৌতুহলের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জুয়েল বলেন, আমার স্ত্রী ও সন্তানকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই আমি জয়পুরহাট সদর থানায় ওই লম্পটের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।

ওই শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন।

আওয়ামীলীগের কেন্দ্রী উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তৌফিকুল ইসলাম বুলবুল ওই স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী ও সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনফুজুর রহমান মিলন।

স/আ