সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের ওপর আজ রায় দেবেন হাইকোর্ট। একই মামলায় নিম্ন আদালতে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের ব্যবসায়িক বন্ধু হিসেবে পরিচিত গিয়াস আল মামুনের করা আপিলের ওপরও রায় দেবেন আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেবেন। গতকাল বুধবার এক আদেশে আদালত রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। এর আগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল এবং সাজার বিরুদ্ধে মামুনের আপিলের ওপর গত ১৬ জুন শুনানি শেষে তা যেকোনো দিন রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখার আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। মামুনের পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বিদেশে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ঢাকার একটি আদালত ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এক রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। এ মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। একই সঙ্গে কারাবন্দি মামুনও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর এ আপিলটি কার্যতালিকায় এলে আদালত গত ১২ জানুয়ারি তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ পরিস্থিতিতে ২০ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়।
এরপর সমনের নোটিশ তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে কি না তা জানতে চান হাইকোর্ট। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতকে সমন জারির বিষয়টি অবহিত করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সমন জারির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৩ মার্চ পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় গত ৩ মার্চ এক আদেশে হাইকোর্ট বলেন, তারেক রহমান আত্মসমর্পণ করেন কি না তা দেখা হবে। এরপর ১৬ মার্চ পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে। এ অবস্থায় গত ১৬ মার্চ আদালত নতুন করে নোটিশ জারির নির্দেশ দেন। এ নোটিশ তারেক রহমানের ঠিকানায় পৌঁছেছে কি না তা জানার জন্য ৩১ মার্চ দিন রেখেছিলেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ এপ্রিল আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর উভয় আপিলের শুনানি হয়।
সূত্র: কালের কণ্ঠ