সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। টেস্ট মর্যাদা পেয়েও যদি ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাঁর দেশ খেলতে না পারে, তাহলে সেটি দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কি! নিজেকে দুর্ভাগা ভাবার সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ আইসিসির সিদ্ধান্তেই।
সারা দুনিয়ার অন্য সব খেলাতে যেখানে বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে আইসিসি কিনা ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেটা কমিয়ে দিল! ২০১৫ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলা আয়ারল্যান্ড ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে পারছে না ‘বাছাইপর্ব’ নামর গ্যাঁড়াকলে পড়ে। কেবল আয়ারল্যান্ডই নয়, এই দুর্ভাগ্য মেনে নিতে হচ্ছে ১৯৯২ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া জিম্বাবুয়েকেও।
গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরেছে আয়ারল্যান্ড। কালকের ম্যাচটা জিতলেই আয়ারল্যান্ড নিশ্চিত করে ফেলত বিশ্বকাপ। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়ত আফগানিস্তান। আগের দিনই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৩ রানে হেরে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। স্কটল্যান্ড তো প্রায় চলেই যাচ্ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯৯ রানে গুটিয়ে দিয়েও তারা পারেনি বৃষ্টির বাগড়ায়। আইসিসির মস্তিষ্কপ্রসূত ‘বাছাইপর্ব’ একটা জিনিস অবশ্য প্রমাণ করে দিয়েছে তথাকথিত বড় দলগুলোর বাইরে বিশ্বকাপে খেলার ‘যোগ্য’ দলের সংখ্যা কিন্তু একেবারেই কম নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাদ দিলে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড, আরব আমিরাত, আয়ারল্যান্ড বিশ্বকাপে জায়গা পেতে পারতই।
পোর্টারফিল্ড আইসিসির ওপরই নিজের ক্ষোভটা ঝেড়েছেন, ‘এই আইসিসি ব্যস্ত বড় দলগুলোকে নিয়ে। প্রতি চার বছর পরপর যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সেটিতে বাছাইপর্ব থেকে মাত্র ২টি দল কীভাবে যায়। ছয় সপ্তাহের এই প্রতিযোগিতায় কয়েকটি বড় দল একে অন্যের সঙ্গে ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। এতে ব্যবসা হবে ঠিকই। কিন্তু বাকি দলগুলোর কী লাভ হবে?’
পোর্টারফিল্ড অবশ্য জানিয়েছেন তাঁর দেশ বিশ্বকাপে যেতে না পারার দুঃখে তিনি এসব ব কথা বলছেন না, ‘বিশ্বকাপে যেতে না পারার কারণে আমি এসব বলছি, ব্যাপারটা তা নয়। আমি ক্রিকেটের বড় দলের বাইরে অন্য দলগুলোকে দেখেই বলছি। তাদের জন্য আমার খারাপই লাগে। পরের সপ্তাহে তারা কী করবে, সেটা তারা জানে না।’
স্কটল্যান্ডের দুর্ভাগ্যজনক বিদায়টা মেনে নিতে পারছেন না পোর্টারফিল্ড, ‘আমরা তো তাও খেলে হেরেছি। কিন্তু স্কটল্যান্ড? ওদের জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে।
২০১৫ বিশ্বকাপের সময়ই আইসিসি সিদ্ধান্ত নেয় দশ দলের বিশ্বকাপের। সে সময়ই আইসিসির এই সিদ্ধান্তে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। প্রথম আলো