আইন আরপিওর ৯০বি ধারা বাতিলের দাবি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)-এর ৯০বি ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন দাবি পরিষদ’। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোনো ধরনের নিবন্ধন ছাড়াই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং একাধিকবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপিও একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে এবং জাতীয় পার্টি দেশ চালিয়েছে।

অনিবন্ধিত অবস্থায় বারবার ক্ষমতাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ সরকার ১/১১’র অরাজনৈতিক সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত কালো আইনটিকে বাতিল করেনি। বরং আইনটিকে সহজীকরণের পরিবর্তে বহুগুণ কঠিন করে তোলায় দেশপ্রেমিক জনগণ চরমভাবে হতাশ হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কোনো রাজনৈতিক দল গঠন ও পরিচালনা করতে নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে না। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে দলের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী প্রতীক সংরক্ষণ, এক নামে একাধিক রাজনৈতিক দল যাতে গড়ে উঠতে না পারে তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিবন্ধনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- যে বিষয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোনো দেশ সাহস দেখাতে পারেনি। এমনকি এ শর্ত পূরণের মুচলেকা দিয়ে নিবন্ধন পাওয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ কোনো দলই টার্গেট পূরণের ধারে-কাছে পৌঁছতে পারেনি।

কাজেই বাংলাদেশে এ অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক কালো আইন কেন চলমান থাকবে? আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলে ১ শতাংশ ভোটারের আগাম স্বাক্ষরযুক্ত কাগজপত্র জমাদানের বিধান, গোপন ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সাংবিধানিক অধিকার জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে।

আরও বলা হয়, যুক্তরাজ্যে চার শতাধিক, ভারতে উনিশ শতাধিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে তিন শতাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বর্তমানে বিদ্যমান আছে। গণতন্ত্রপন্থী অন্যসব রাষ্ট্রেও রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে একই ধরনের আইন চালু আছে।

আগামী সংসদ অধিবেশনে ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি ধারাসহ ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্তির বিধান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের আগাম স্বাক্ষরের বিধান বাতিলের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনেরও দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন দাবি পরিষদের সদস্য সচিব সৈয়দ হারুনুর রশীদ। সংবাদ

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শামছুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ বেকার সমাজ পার্টির সভাপতি মো. হাসান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ইসলামী দলের আহ্বায়ক আনওয়ার হোসেন, কুরআনিক পার্টির আহ্বায়ক শাহ অয়ালি উল্লাহ, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ হোসেন ভুইয়া, ভাসানী ন্যাপ চেয়ারম্যান মোস্তাক ভাসানী, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান কেএম আবু হানিফ হৃদয়, কৃষক প্রজা পার্টির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল কাইয়ূম, নিউ গ্রিন পার্টির আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ খান, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টির রফিকুল্লাহ ভুইয়া, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টির আহ্বায়ক আইন উদ্দিন ভূইয়া, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মো. বিল্লাল, বাংলাদেশ জনদলের যুগ্ম-মহাসচিব আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।