‘আইনের শাসন অনেক পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত’

আইনের শাসন এখন অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সঙ্গে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৫তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠিত ধারণাটি শুধু আইন-আদালতের বিচার-আচার আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করে না। আইনের শাসন এখন অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সঙ্গে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি, বিচারক বা আইনজীবী ছাড়াও নানা পেশায় ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, গরিব-অসহায় মানুষের আইনগত সহায়তা দেওয়া, সাধারণ জনগণের মধ্যে আইন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, আইন ও অপরাধ সম্পর্কে গবেষণা করা ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশ আইন সমিতি অবদান রাখতে পারে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে চির বিদায় দিয়ে দেশে ন্যায়বিচারের যে দ্বার উন্মোচন করা হয়েছে, এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, পিতার ঐকান্তিক ইচ্ছায় বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭-৪৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি এলএলবি কোর্সে ভর্তি হয়ে প্রথমবর্ষটা ঠিকঠাক শেষ করতে পেরেছিলেন। তারপরের কাহিনি অনেকেরই জানা। এলএলবি শেষ করতে না পারা সেই প্রতিবাদী যুবকই শেষ পর্যন্ত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার, অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারি, সমিতির মহাসচিব কেশব রায় চৌধুরীসহ অন্যান্যরা বক্তৃতা করেন।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ