অ্যাম্বুলেন্সও ভাঙচুর করলেন শ্রমিকরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: রাজধানীর গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এলাকা দিয়ে কোনও যানবাহন চলাচল করতে দেননি আন্দোলনরত শ্রমিকরা। মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের পর অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়িও যেতে দেননি তারা। এসময় বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা অ্যাম্বুলেন্সেও ভাঙচুর  চালিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনরত শ্রমিকরা অ্যাম্বুলেন্সকেও  গাবতলীর রাস্তাটি ব্যবহার করতে দেননি। আমিন বাজারের দিক থেকে গাবতলী হয়ে যেসব অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় ঢুকতে চেয়েছিল, সেগুলোতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ভাঙচুর চালিয়েছেন। এসময় বেশ কিছু  অ্যাম্বুলেন্স শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়ে  ফিরে যেতে হয়েছে। আর ঢাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যেসব অ্যাম্বুলেন্স মাজার রোড পর্যন্ত পৌঁছায়, সেগুলোকে মাজার রোডের ডাইভার্সন রোড দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সের কাঁচও ভাঙা দেখা গেছে।

সরেজমিনে আরও দেখা গেছে,  মঙ্গলবার ১টা ২৫ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি লাশবাহী মিনি ট্রাক হাজির হয় টেকনিক্যাল মোড়ে। গাড়িটি গাবতলীর রাস্তায় রওনা হলেও শ্রমিকরা গাড়িটিকে সোজা রাস্তায় ঢাকা থেকে বের হতে দেয়নি। মাজার রোডের সামনে অবস্থানরত শ্রমিকরা গাড়িটিকে মাজার রোডের ডাইভার্সন রোডটি ব্যবহারে বাধ্য করে।

উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিচালক তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামির হোসেন নামের এক পরিবহন শ্রমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া সাভারের এক দুর্ঘটনার মামলায় মীর হোসেন মীরু নামে আরেক চালককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন সিএমএম আদালত। এ কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন