অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস অর্ধেক শেষ

নাসুমের বলেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে। তার বলে ৭ রানে আউট হয়ে ফিরেছেন অ্যাস্টন আগার। আউটের দায় অবশ্য আগারের বেশি। তিনি নাসুমের বল ডিফেন্সিভ খেলতে গিয়ে পা লাগিয়ে দেন স্টাম্পে। হিট উইকেটহয়ে ফিরতে হয় আগারকে। ৭১ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় অস্ট্রেলিয়ার।

বোলিংয়ে নেমেই অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই অ্যালেক্স ক্যারিকে (০) বোল্ড করে দেন মেহেদি হাসান। পরের ওভারের চতুর্থ বলে আরেক ওপেনার জস ফিলিপসকে (৯) স্টাম্পড করেন উইকেটকিপার সোহান। বোলার ছিলেন নাসুম আহমেদ। তৃতীয় ওভারে মঞ্চে আসেন সাকিব। বোল্ড করে দেন মোইজেস হেনরিক্সকে (১)। ১১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড আর মিচেল মার্শ ইনিংস মেরামতের চেষ্টা শুরু করেন। তবে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে তারা সহজ ছিলেন না। ২৩ বলে ১৩ রান করা ম্যাথু ওয়েডকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল পুল করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন ওয়েড। ৪৪ বলে ৪র্থ উইকেট জুটিতে আসে ৩৮ রান।  ৪৯ রানে ৪র্থ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩২ রান তোলে বাংলাদেশ। মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে নিজের ও দলের রানের খাতা খোলন নাঈম শেখ। ওই ওভারে আর কোনো রান দেননি স্টার্ক। পরের ওভারে হ্যাজেলউড দেন ২ রান। তৃতীয় ওভারেই জাম্পাকে দিয়ে স্পিন আক্রমণ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন সৌম্য সরকার। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে তাকে বোল্ড করে দেন জোস হ্যাজেলউড। শরীর বরাবর আসা বলটি ৯ বলে ২ রান করা সৌম্যর ব্যাট ছুঁয়ে স্টাম্পে গিয়ে লাগে।

পঞ্চম ওভারে আবার স্টার্ক আসেন বোলিংয়ে। আবারও তার ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকান নাঈম। এবার বল গিয়ে পড়ে গ্যালারিতে। অস্ট্রেলিয়ার জৈব সুরক্ষার শর্ত অনুযায়ী সেই বল আর ব্যবহৃত হয়নি। নতুন বল দিয়ে খেলা শুরু হয়। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া নাঈমকে থামান জাম্পা। তার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ২৯ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ৩০ রান করা নাঈম। ৭ম ওভারে দলীয় ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন দুই সিনিয়র সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ। অ্যাস্টন আগারের বলে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ ছাড়েন টার্নার। ৩১ বলে ৩৬ রান তোলা এই জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে। ১৩তম ওভারে হ্যাজেলউডের বলে ম্যাট হেনরিকসের তালুবন্দি হন ২০ বলে ১ ছক্কায় ২০ রান করা মাহমুদউল্লাহ।

উইকেটে আসেন নুরুল হাসান সোহান। তবে এদিন তিনি ভরসা জোগাতে পারেননি। অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলে ৩ রানে ধরা পড়েন মিচেল মার্শের হাতে। উইকেটে আসেন আফিফ। সাকিব খেলছিলেন সাবলীল। ১৭তম ওভারে তাকে বোল্ড করে দেন হ্যাজেলউড। ৩৩ বলে ৩ চারে ৩৬ রানে ফিরেন সাকিব। স্টার্ককে স্ট্রেইড ড্রাইভে দুই রান নিয়ে রানের খাতা খোলেন শামীম। পরের বলে আসে আরও ২ রান। ১৮তম ওভারের শেষ বলে তাকে বোল্ড করেন স্টার্ক। আফিফ দুর্দান্ত খেলছিলেন। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে তাকে বোল্ড করেছিলেন স্টার্ক। কিন্তু আম্পায়ার নো বল ডাকেন। ফ্রি হিটেও ক্যাচ দিয়েছিলেন আফিফ। অবশেষে শেষ বলে ১৭ বলে ৩ চারে ২৩ রান করা আফিফকে বোল্ড করেন স্টার্ক। বাংলাদেশ থামে ৭ উইকেটে ১৩২ রানে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ