অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ‘কাপুরুষ’

বিরাট কোহলির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় প্রধান কোচের চাকরি হারান ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার অনিল কুম্বলে।

কোহলির মতো নাকি একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন প্যাট কামিন্স। প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের পদত্যাগে নাকি অধিনায়ক কামিন্সের ভূমিকা রয়েছে। এমন অভিযোগই তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকারা।

গত শনিবারই অস্ট্রেলিয়ার কোচের চাকরি থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তার অধীনে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পাশপাশি, ল্যাঙ্গারের অধীনে দুইবার অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ল্যাঙ্গারের অত্যাধিক কড়া শাসন নাকি অজি ক্রিকেটাররা সেভাবে মেনে নিতে পারেননি।  এমন অভিযোগ রয়েছে।

কোচ ল্যাঙ্গার সম্পর্কে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি প্রকাশ্যে ল্যাঙ্গারের বিপক্ষে না হলেও, স্বপক্ষেও কিছু বলেননি। যে কারণে কামিন্সের তীব্র সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ও সফল সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং।

দ্যা ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ানে নিজের কলামে জাতীয় দলের সাবেক তারকা পেসার মিচেল জনসন রীতিমতো ধুইয়ে দিয়ছেন বর্তমান অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে।

তিনি লেখেন, কামিন্সের জন্য ল্যাঙ্গারের পক্ষে কথা বলার প্রচুর সুযোগ ছিল, কিন্তু ও কিছুই করেনি। যা স্পষ্ট করে দেয় ও চায়নি ল্যাঙ্গার কোচ থাকুক। কামিন্স যথেষ্ট ক্ষমতাশালী। ও স্পষ্টতই নিজের পছন্দের কোচ চায়। ওর সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারগুলো একেবারেই কাপুরুষর মতো ছিল এবং ও নিজের কোচকে সম্মান জানায়নি।

জনসনের সমালোচনার জবাবে বুধবার কামিন্স এক বিবৃতিতে বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, যে আরেকজন ফাস্ট বোলার আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে।

কামিন্স আরও বলেন, জনসন  নিজের সতীর্থের স্বপক্ষে কথা বলছে। আমি ওর সঙ্গে একেবারেই সহমত নই। ও তো আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগও করেনি। ওর নিজের মতামত রাখার অধিকার আছে এবং ও নিজের বন্ধুর কথা বলছে। তবে আমিও গর্বের সঙ্গে নিজের মাথা উঁচু করতে পারি, কোনো সমস্যা নেই।

 

সূত্রঃ যুগান্তর