অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে? সমাধান আপনার ঘরেই

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পাকবে, এটাই তো স্বাভাবিক। তবে  চুলে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাব হলে অল্প বয়সেই চুল পাকা শুরু হতে পারে। আবার অনেকের বংশগত কারণেও অল্প বয়সে চুল পাকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়।

পাকা চুল এড়াতে অনেকে হেয়ার কালারের আশ্রয় নেয়। তবে চুলে রঙ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাজারে যে সমস্ত হেয়ার কালার বিক্রি হয় সেগুলো বেশিরভাগই সব রাসায়নিক পদার্থ। এতে আরো হিতে বিপরীত হয়। এক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু টোটকা মেনে চললে চুল পড়া থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

আমলকি: চুলের ক্ষেত্রে এর কোনও বিকল্প হয়না। আমলকি হল চুলের মহৌষধ। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আপনি বেটে কিংবা গুড়ো করে চুলের গোঁড়ায় লাগাতে পারেন। আমলকী বেটে নিয়ে তার সঙ্গে একটু নারকোল তেল মিশিয়ে ভাল ভাবে সপ্তাহে অন্তত ৪-৫ দিন লাগান। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর চুল ধুয়ে নিন। চুলে খুসকি কিংবা চুল পড়ে যাওয়াকেও রোধ করবে আমলকি।

লেবুর রস: নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন এক বার করে চুলের গোঁড়ায় লাগান। ভাল ভাবে মালিশ করুন। তবে লেবুর রস খুব বেশি ক্ষণ চুলে রাখবেন না। এতে করে গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ে যেতে পারে।

বাদাম  তেল:বাজারে বিভিন্ন রকমের তেল পাওয়া যায়। সব তেল চুলের পক্ষে ভাল নাও হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন বাদাম তেল ব্যবহার করার। সুন্দর রেশমী চুল পাওয়ার জন্য বাদাম তেলের কোনও বিকল্প নেই।

রঙ চা : চুলে আপনি রঙ চা ব্যবহার করতে পারেন। একটা পাত্রে রঙ চা নিয়ে তার মধ্যে অল্প লবণ মিশিয়ে ঠাণ্ডা করে চুলে লাগান। হালকা করে ম্যাসাজ করুন। তারপরে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু কিংবা কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না একদমই। সপ্তাহে ১-২ দিন এই পদ্ধিতি প্রয়োগ করুন। ফল আপনি পাবেন।

পেঁয়াজ বাটা :চুলের বিভিন্ন রকমের সমস্যায় সবচেয়ে কার্যকরী হল পেঁয়াজ। কাঁচা পেঁয়াজ বেটে তার রস চুলের গোঁড়ায় গোঁড়ায় লাগান ভালভাবে। ২৫-৩০ মিনিট রাখুন, তারপরে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সমস্যার হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছেন।

এইসব চুলের যত্নের পাশাপাশি অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খাবারে প্রতিদিন ভিটামিন বি, বি১২, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড রাখুন।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ