অলিম্পিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক। দেশের হয়ে প্রথম বারের মতো অলিম্পিক আসরে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা ওড়ান সে সময়ের দ্রুততম মানব সাইদুর রহমান ডন। তিনি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। এর ৩২ বছর পর এবারের রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণের জন্য ওয়াইলকার্ড নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। এক জায়গায় মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এই দুই কৃতী অ্যাথলেটের। শিরিনও যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
অনেক শঙ্কার পর গত সোমবার রাতে শিরিন আক্তারের রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াঙ্গনে বইছে তাই খুশির জোয়ার। শিরিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সাতক্ষীরায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক চৌধুরী মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী হিসেবে রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবে আমাদের এমনটাই আশা ছিল। কিন্তু গত ১৫ জুলাই ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার শেষ দিনেও কার্ড নিশ্চিত না হওয়ায় আশাহত হয়েছিলাম। এরপরও যোগাযোগ চলছিল বলে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আমাদের জানিয়েছিলেন। সোমবার রাতে খবরটি আসার পর আমরা অনেক খুশি হয়েছি।
চৌধুরী মনিরুজ্জামান বলেন, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এবারের অলিম্পিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে দ্বিতীয় শিক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন শিরিন আক্তার। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া, গর্বের বিষয়।
জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে শিরিন টানা দ্বিতীয়বারের মতো ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা। গত আসরে ১২.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্রুততম মানবী হন শিরিন। তার আগের বার তার টাইমিং ছিল ১২.২৪ সেকেন্ড।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিরিন আক্তারের প্রশিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক পার্থ প্রতিম মল্লিক।

তিনি বলেন, শিরিন বিকেএসপির শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখান থেকেই সে বয়সভিত্তিক দৌড়ে জাতীয় পদক লাভ করে। এরপর দেশের দ্রুততম মানবী হন। এবার অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। আমরা ভালোকিছুই আশা করছি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, ‘শিরিন অলিম্পিকে সুযোগ পেয়েছে এটা আমাদের জন্য খুশির এবং গর্বের। মুঠোফোনে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শুভকামনা জানাচ্ছি।’

স/মি