অর্থাভাবে চিকিৎসাবঞ্চিত শিশু রেদোয়ান বাঁচতে চায় 

আদমদীঘি প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘির দমদমা গ্রামের বাসিন্দা আশেদুল ইসলামের ছেলে রেদোয়ান হোসেনের (৮) শরীরের প্রায় ৪০ভাগ দগ্ধ হয়ে গেছে। গত ১৩ দিন ধরে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সে। অর্থের অভাবে ভ্যান চালক বাবা আশেদুল তার ছেলের চিকিৎসার করাতে পারছেন না।

জানা যায়, শিশু রেদোয়ান হোসেন সান্তাহার দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার মকতব জামাতের ছাত্র। করোনা ভাইরাসের কারনে গত ১৮মার্চ মাদ্রাসা ছুঁটি ঘোষনা করা হলে সে বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর ২০তারিখ দুপুরে কোমড়ে গামছা পড়া অবস্থায় মায়ের রান্না করা চুলায় সে মিষ্টি আলু পোড়াতে যায়। একপর্যায়ে গামছার একাংশে আগুন লেগে সে দগ্ধ হয়। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানিয় ক্লিনিকে এবং সেখান থেকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্ত পরিবারের দাবী করোনা ভাইরাসের কারনে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় ভালো চিকিৎসা পাননি। ফলে ৩১মার্চ সেখান থেকে স্থানিয় সান্তাহার ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। চারদিন সেখানে রাখার পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে নিয়ে যান। ক্লিনিকের সত্বাধীকারি ডাক্তার মামুনুর রশিদ মামুন জানান, শিশুটির শরীর যেভাবে দগ্ধ হয়েছে তাতে অতিসত্বর হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো প্রয়োজন। ফলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করাতে হবে। আর এজন্য অনেক টাকাও খরচ হবে।

শনিবার সকালে কথা হয় শিশুর বাবা আশেদুল ইসলাম ও মা মনোয়ারা বেগমের সাথে-তারা জানান, তাঁদের সহায় সম্বল বলতে চার্জার ভ্যান আর দুটি সন্তান ছাড়া আর কিছুই নেই। যে বাড়িতে তারা বসবাস করেন সেটিও অন্যের। করোনা ভাইরাসের কারনে গাড়ি চালাতে না পারায় আর ছেলের এমন পরিস্থিতে তাঁদের হাতে কোনো টাকা-পয়সা নেই। ডাক্তার বলেছেন ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে প্রায় তিন লক্ষাধীক টাকার প্রয়োজন। এতো টাকা কোথায় পাবে? কে দিবে এতো টাকা? এনিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তারা। এদিকে একমাত্র ভাই এমরান শিশু রোদোয়ানের বিছানায় কাতরানো দেখে অঝোঁড়ে কেঁদে যাচ্ছে।

সান্তাহার দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার হিসাব রক্ষক মো. মকতেব আলী বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ এজন্য ব্যক্তিগত ভাবে তিন হাজার টাকা দিয়েছিলাম তা কয়েকদিন ওষুধ কিনতেই শেষ হয়ে গেছে। পরিবারটির অবস্থা খুবই খারাপ। ভ্যান চালক বাবার পক্ষে এতো টাকা খরচ করে ছেলের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তার চিকিৎসার জন্য সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টায় তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এজন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন করা হচ্ছে। যদি কেউ তাকে সাহায্য করতে চায় তাহলে তার মায়ের (০১৭৯৮-৭৬০৩৫১) এই বিকাশ পারসোনাল নম্বরে টাকা পাঠাতে পারবেন। অথবা সরেজমিনে আসতে পারেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে।

স/অ