সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় সাম্প্রতিক কয়েকটি অভিযানে নিহত জঙ্গিদের লাশ সরিয়ে নেবার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে, পুলিশ বলছে, লাশগুলোর এখনো কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়া বাকি আছে, যা সম্পন্ন হবার পরই সেগুলোর ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ সংরক্ষণের ফ্রিজের মোট ২০টি চেম্বার রয়েছে।
এর মধ্যে আটটিই অকার্যকর থাকায়, এই মূহুর্তে ১২টি চেম্বারে ১৬টি লাশ রাখতে হয়েছে।
এর মধ্যে ১৩টি লাশ সাম্প্রতিক কয়েকটি অভিযানে নিহত জঙ্গিদের।
অধ্যাপক মাহমুদ বলছেন, এমনিতে প্রতিদিন ছয় থেকে দশটি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয় এখানে, যেগুলো হয়ত কয়েকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু এখন পর্যাপ্ত জায়গা খালি না থাকায় সমস্যায় পড়ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সেকারণে শনিবার কর্তৃপক্ষ ঢাকা মহানগর পুলিশকে লাশগুলো সরিয়ে নেবার ব্যবস্থা করতে চিঠি দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেছেন, লাশগুলোর এখনো কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়া বাকি আছে, যা সম্পন্ন হবার পরই সেগুলোর ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কল্যাণপুরে নিহত নয় জঙ্গি, নারায়ণগঞ্জের তিন জঙ্গি, মিরপুরে নিহত একজনসহ মোট ১৩ জঙ্গির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এছাড়া গুলশান হামলায় নিহত ছয়জনের লাশ রাখা আছে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
কোন পরিবারই এখনো পর্যন্ত লাশ নিতে চায়নি।
তবে, পুলিশের মি. রহমান জানিয়েছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল পাওয়ার পর পরিবার লাশ নিতে চাইলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা