সাকলাইনের সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল তার কোচ আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিলের। তিনি স্পন্সর এবং ভিসা আবেদনে ডকুমেন্টস স্বল্পতা থাকায় ১০ মার্চ অপরাগতা প্রকাশ করেন। এরপর দাবা ফেডারেশনের সদস্য মাহমুদা আক্তার মলি চেষ্টা করেছিলেন। তখন অবশ্য তার হাতে পাসপোর্ট ও হাতে তেমন সময় ছিল না, ‘আমাকে যখন জানানো হয় তখন আমার পাসপোর্ট ছিল ভারতীয় দূতাবাসে। সেই পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হয়। এরপর যখন আবেদনের উদ্যোগ নেই তখন স্পেন দূতাবাস বলেছিল কমপক্ষে ১৫ কর্মদিবস প্রয়োজন। সাকলাইেনের বয়স মাত্র ১৩ হওয়ায় পরিবারও একা ছাড়েনি। তাই শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হলো না সাকলাইনের।’
আবু সুুফিয়ান শাকিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করায় ভিসার ক্ষেত্রে সরকারি আদেশ (জিও) থাকা বাধ্যতামূলক। আবেদনের সময় জিও ছিল না শাকিলের, ‘২৭ ফেব্রুয়ারি ফিদে জানালেও সাকলাইন অবহিত হয় ১ মার্চ। এখানে দুই দিন সময় বিলম্ব হয়। স্পেনে অনেক কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। জিও পেতে সময় লাগায় এবং আমার স্পন্সর নিশ্চিত না হওয়ায় ১০ মার্চ মলিকে (ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য) জানাই। ’
সাকলাইনের বাবা, নিজ পরিবারের পরিবর্তে কোচ ও ফেডারেশনের সদস্যের উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণটিও ব্যাখ্যা করেছেন তার বোন, ‘আমার বাবার পক্ষে ২-৩ লাখ ব্যয় করে স্পেন যাওয়াটা একটু কষ্টসাধ্যই। দাবা সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় দাবার সংশ্লিষ্ট একজন গেলেই সাকলাইন ও দেশের দাবার জন্য ভালো হতো। দুই জন চেষ্টা করেছে শেষ পর্যন্ত ভিসা আবেদন করতে পারেনি। এজন্য সাকলাইনও আবেদন করেনি। ’
ক্যান্ডিডেট মাস্টার সাকলাইন জাতীয় জুনিয়র দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গত ডিসেম্বরে। আন্তর্জাতিক রেটিং দাবাতেও প্রথম হয়েছেন। যেখানে গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানও খেলেছিলেন। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করেই ফিদে সাকলাইনকে এমন আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।