অবৈধ ক্লিনিক খুলে স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না : রাজশাহীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতাল খুলে জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না  বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার রাজশাহী ডেন্টাল হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়া জেনারেল ইয়াজদানি আহমেদ ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী বুধবার বিকেলে রাজশাহীতে পৌঁছেন। পরে রাতেই তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। খোঁজ নেন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিয়ে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক খুলে জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। জনগণের স্বাস্থ্য সেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না বলে।এ জন্য ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে। অভিযান চলমান থাকবে।

১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কাগজে-কলমে বন্ধ থাকলেও বাস্তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক চলছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেটা দেখব। যেগুলো সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো যদি আবারও পূরণ না করে থাকে তাহলে তাকে বন্ধ করে রাখা হবে, বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোন প্রতিষ্ঠানকে যে কারণে বন্ধ করা হয়েছিল, সেই কারণগুলো যদি আবার শুরু করে তাহলে বন্ধ করার ব্যবস্থা হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বলেছেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা স্বত্ত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি।

এ হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সাথে মতবিনিময় করব।’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স/আর