অবশেষে হাসলেন সেই নিপুণ

অবশেষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন সেই নিপুণ বিশ্বাস। উপাচার্যের বিশেষ নির্দেশনায় তাঁকে ভর্তি করা হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির জরুরি সভায় নিপুণ বিশ্বাসের ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্ধারিত সময়ের আট মিনিট দেরিতে পৌঁছনোর কারণে নিপুণকে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছিল কর্তৃপক্ষ। নিপুণ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন।

এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে  সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (১ জানুয়য়ারি) সন্ধ্যায় জরুরি সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি। সেখানেই নিপুণকে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মানবিক দিক ও নিপুণের পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উপাচার্যের ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে তাঁকে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

ডিনস কমিটির সভা শেষে জানানো হয়, ‘উপাচার্যের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি একটি আসন বাড়িয়ে নিপুণকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির পরবর্তী সভায় অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ‘

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কমিটি নিয়ম মেনেই হয়তো ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু আরেকটু অপেক্ষা করলে এ ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হতো না। নিপুণ বিশ্বাস সমাজের একটি অনগ্রসর পরিবারের সদস্য, আমি এটা জানতে পেরে ডিনস কমিটির জরুরি সভার নির্দেশ দিই। আশার কথা হচ্ছে, যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেও আগামীকালই (বুধবার) নিপুণ ভর্তি হতে পারবে। ‘

ভর্তির সুযোগ পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন নিপুণ। নীলফামারীর এই তরুণ বলেন, ‘অবশেষে আমার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। যাঁরা আমার পাশে ছিলেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। ভবিষ্যতে পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। ‘

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ