অন্ধ মহিলাকে বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে সহবাস, ধর্ষণের দায়ে হাজতে ‘বন্ধু’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে স্বামী আত্মহত্যা করেন তাঁর। কিন্তু, দিল্লিবাসী এই মহিলার মনে হয় যে, সেই মৃত্যুর পিছনে অন্য রহস্য রয়েছে। তাই বেশ কয়েক মাস ধরে ভাল কোনও আইনজীবীর খোঁজে ছিলেন, যিনি তাঁকে সাহায্য করবেন।

সেই সূত্রেই মহিলার আলাপ হয় গুরুগ্রামের বাসিন্দা সৌরভের সঙ্গে। এবং ঘটনাচক্রে সৌরভও ছিল দৃষ্টিহীন। ২০১৫ সালের মে মাসে, আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার অছিলায়, মহিলাকে গুরুগ্রামের একটি গেস্ট হাউজে নিয়ে যায় সৌরভ। সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই দিনই মহিলাকে ধর্ষণ করে সৌরভ। কিন্তু, মহিলা কান্নাকাটি করায়, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় সে।

ওই ঘটনার পরে, আরও মাস পাঁচেক ধরে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক বজায় থাকে। এর মধ্যে, সৌরভ বেশ কয়েকবার মহিলার কাছ থেকে টাকাও নেয় বলে অভিযোগ।

একদিন হঠাতই সৌরভ জানায় যে, সে এই সম্পর্কে ইতি টানতে চায়। উপায়ান্তর না দেখে মহিলা এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের সাহায্যে তিনি পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন। এবং ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সৌরভ।

আদালতে সৌরভকে চেনানোর জন্য তাকে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলানো হয় বলে। গলার আওয়াজ শুনেই তাকে চিনতে পারেন ৩২ বছরের দৃষ্টিহীন ওই মহিলা।

আগামি ২৪ জুলাই ধার্য হবে সৌরভের সাজা।